‘মাইক্রো ক্রেডিট ব্যাংকের জন্য হবে আলাদা আইন’
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৫, ১২:৪৬ PM , আপডেট: ১৭ মে ২০২৫, ০৭:৩৮ PM

মাইক্রো ক্রেডিট ব্যাংকের জন্য আলাদা আইন করতে হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, একটা নতুন ব্যাংক হতে হবে। এটা মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি করতে পারে। এর জন্য পৃথক আইন জরুরি।
শনিবার (১৭ মে) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মাইক্রোক্রেডিট নিয়ে আমরা এমন পর্যায়ে এসেছি, এটা নিয়ে নতুন চিন্তা করতে হবে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মাইক্রোক্রেডিট ব্যাংকগুলো সদস্যদের সঞ্চয় নিতে পারলেও বাইরের কারও ডিপোজিট নিতে পারে না। এটি একটা সীমাবদ্ধতা। তাই এর জন্য আইন করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, মাইক্রোক্রেডিট ব্যাংকগুলোকে লাইসেন্স দেওয়ার সময় কার্যপরিধি স্পষ্ট উল্লেখ থাকতে হবে। আইনিভাবে এটি একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান হবে। যেখান থেকে মুনাফা করা যাবে না। এর জন্য গ্রামীণ ব্যাংক তাদের হাতে সরঞ্জাম তুলে দেবে। তখন আর কেউ চাকরির পেছনে দৌড়াবে না।
আরও পড়ুন : প্রেস সচিবের পদ ছাড়ার পর একা হয়ে পড়বেন—শঙ্কা শফিকুল আলমের
গ্রামীণ ব্যাংকের বিষয়ে ব্যাংকটির সাবেক এমডি অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকই প্রকৃত ব্যাংক, অন্যগুলো লোক দেখানো ব্যাংক। গ্রামীণ ব্যাংক গড়ে উঠেছে বিশ্বাসের ভিত্তিতে। তাই এখানে জামানতের প্রয়োজন পড়ে না। যেটা অন্য কোনো ব্যাংকে নেই।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে যারা নিজেদের প্রকৃত ব্যাংক বলছে, তারা কেউ নেই। সেসব ব্যাংক শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংক হারিয়ে যায়নি। কারণ এখানে মানুষের পরিচয় আর বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে ব্যাংকিং হয়। এ সময় গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রমই আগামী দিনের ব্যাংকিং হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. এম আনিসুজ্জামান চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক প্রমুখ।