কোনো নাগরিককে মোরাল পুলিশিংয়ের দায়িত্ব দেয়নি সরকার: আসিফ নজরুল
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৫, ০৭:২১ PM , আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৫, ০৭:৩৮ PM

আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন গোষ্ঠী কর্তৃক আমাদের মেয়েদের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে। এমনকি ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়েও তাদের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে। এসব বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি। এর আগেও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কোনোভাবেই এবং কোনে অবস্থাতে জনগণকে মোরাল পুলিশিংয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।
আজ বুধবার (১২ মার্চ) ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের ২৫ জনের একটি প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি দিতে সচিবালয়ে যান। তাদের সঙ্গে বৈঠকে শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, দেশের আইনেও মোরাল পুলিশিংয়ের অধিকার কাউকে দেওয়া হয়নি। মোরাল পুলিশিং যদি করতে হয়, তাহলে নিজের ওপর করেন। নিজেকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনি মিথ্যা কথা বলেন কিনা? আপনি গীবত করেন কিনা? আপনি নারীদের প্রতি খারাপ চোখে দেখেন কিনা? আপনি ঘুষ খান কিনা, দুর্নীতি করেন কিনা? আপনি নির্যাতনে জড়িত কিনা? ইসলামের ৫টি ফরজ পালন করেন কিনা?
তিনি আরও বলেন, আগে মোরাল পুলিশিং নিজের ওপর করেন, তারপর পরিবারের সদস্যদের ওপর। তারপরে বিবেচনা করবেন ইসলাম আপনাকে অন্যকারও ওপর মোরাল পুলিশিং করার অধিকার দিয়েছেন। আমি যতটুকু ধর্ম বুঝি, তাতে বলতে পারে আগে নিজেকে পরিশুদ্ধ করতে হবে। তাই স্পষ্ট বলতে চাই, আমাদের মেয়েদের যারা বিভিন্ন অযুহাতে উত্ত্যক্ত করবেন তাদেরকে কঠোরভাবে দমন করবো।
এ সময় প্রতিনিধি দল পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন। এরমধ্যে রয়েছে- আসিয়ার মামলার ক্ষেত্রে ধর্ষণ ও নিপীড়নবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের মাধ্যমে সাত দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা এবং এক মাসের মধ্যে আসিয়ার ধর্ষকের বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন সাপেক্ষে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের আদেশ নিশ্চিত করতে হবে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালে আসিয়ার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে; প্রত্যেক ধর্ষণ মামলার বিচারে ধর্ষণ ও নিপীড়নবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দ্রুত মামলার বিচার কার্য সম্পন্ন করে সব ধর্ষণের বিচার নিশ্চিত করতে হবে; কার্যদিবসের মধ্যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করতে হবে; নারী ও শিশুর নিরাপত্তার প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, নারী ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টার ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে জবাবদিহি করতে হবে; সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে ‘নারী ও শিশু নিপীড়নবিরোধী সেল’ গঠন ও সেলের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে হবে; ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাইবার বুলিং সংক্রান্ত আইনের সংশোধন করে অপরাধের স্পষ্ট ও যথাযথ সংজ্ঞায়ন করতে হবে।