প্রাথমিক বাদে সব ধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হলো

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের গুলি
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের গুলি  © সংগৃহীত

আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও সরকারসমর্থক সংগঠনের কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় শিক্ষার্থী ও পথচারীসহ ছয়জনের প্রাণ গেছে। এছাড়া আহত হয়েছেন কয়েকশ মানুষ। এ অবস্থায় দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক এবং উচ্চশিক্ষা পর্যায়ের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কওমি মাদ্রাসা বন্ধের ঘোষণা এখনও আসেনি। 

আজ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাতে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। 

এক বিজ্ঞপ্তিতে ইউজিসি বলছে, সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় দেশের সকল পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত মেডিক্যাল, টেক্সটাইল, ইঞ্জিনিয়ারিং ও অন্যান্য কলেজসহ সকল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে আবাসিক হল ত্যাগের নির্দেশনা দিয়ে নিরাপদ আবাসস্থলে অবস্থানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

এর আগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সকল কলেজ ও প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

এদিকে, রাত টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসাসহ) এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর শ্রেণি কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। 

এছাড়া আগামী বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) অনুষ্ঠিতব্য সারাদেশের ১১টি বোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করেছে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। তবে আগামী ২১ তারিখ থেকে পূর্বঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী পরীক্ষা যথারীতি চলবে। রাতে এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।


সর্বশেষ সংবাদ