নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রতীকী অনশন শনিবার

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের বিপরীত পাশের সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের বিপরীত পাশের সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রতীকী অনশনে যাচ্ছেন। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করবেন তারা।

তবে রবিবারের মধ্যে তাদের দাবি মেনে না নিলে সোমবার থেকে লাগাতার অনশন কর্মসূচি আসতে পারে বলেও ফেডারেশনের নেতারা ইঙ্গিত দিয়েছেন।

এদিকে, শুক্রবারও জাতীয় প্রেসক্লাবের বিপরীত পাশের সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীরা। এদিন সকালে এমপিওভুক্তির দাবিতে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে ফেডারেশনের নেতারা। ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলারের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি পৌঁছে দেন।

এর আগে গত ১০ জুন থেকে আন্দোলনে নামেন তারা। তাদের এ কর্মসূচিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নন-এমপিও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা, ও কারিগরি শিক্ষকরা এ কর্মসূচি যোগ দিচ্ছেন।

শুক্রবার ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, ১০ জুন থেকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে আমরা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি। এ দাবিতে আজ শনিবার প্রতীকী অনশন পালন করা হবে। জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করা হবে। পরে একদিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আমরা সোমবার থেকে লাগাতার অনশন কর্মসূচিতে যাব।

জানা যায়, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি শুরু করেন এমপিওভুক্তির দাবিতে নন এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত টানা ৫ দিন এ কর্মসূচি পালন করে ৩১ ডিসেম্বর থেকে লাগাতার অনশনে যান তারা। এসময় অনশনে অংশ নেয়া অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন।

টানা অবস্থান ও অনশনের এক পর্যায়ে ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তার তৎকালীন একান্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসান সেখানে গিয়ে আশ্বাস দেন।

এরপর শিক্ষক-কর্মচারীরা আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন। এরপর সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে বলা হয়েছে আসন্ন অর্থ বছরে নতুন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে। কিন্তু চলতি মাসের ৭ জুন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আসন্ন ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের যে বাজেট প্রস্তাব করেন, সেখানে তিনি নতুন এমপিওভুক্তির বিষয়ে সুষ্পষ্ট কোন কিছু ঘোষণা দেননি। এরই প্রেক্ষিতে ১০ তারিখ থেকে ফের আন্দোলনে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী।


সর্বশেষ সংবাদ