সকালে নাশতার যে খাবারগুলো বাড়াবে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা

প্রতীক ছবি
প্রতীক ছবি  © সংগৃ হীত

সকালের নাশতা শুধু পেট ভরানোর জন্য নয়—এটি আমাদের মস্তিষ্ক, মনোযোগ ও সারাদিনের কর্মক্ষমতার ভিত্তি গড়ে দেয়। ঘুম থেকে ওঠার পর শরীর ও মস্তিষ্ক উভয়ই নতুন জ্বালানির খোঁজে থাকে। সঠিক খাবার বেছে নিতে পারলে সকালে খাওয়া মাত্রই মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বেড়ে যায়, মনোযোগ থাকে স্থির, আর স্মৃতিশক্তিও হয় তীক্ষ্ণ।

চলুন জেনে নিই—কোন কোন উপকরণ সকালের নাশতায় রাখলে মস্তিষ্ক পায় বাড়তি শক্তি ও সতেজতা।

ডিম
ডিম হলো মস্তিষ্কের জ্বালানি। এতে রয়েছে কোলিন, যা মস্তিষ্কের কোষগুলোর যোগাযোগ উন্নত করে ও স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। ডিমের প্রোটিন দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে, ফলে মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে। ডিম সেদ্ধ, পোচ বা অল্প তেলে অমলেট করে খেতে পারেন।

বাদাম ও বীজ
আখরোট, কাঠবাদাম, সূর্যমুখীর বীজ বা চিয়া সিড—সবই মস্তিষ্কের জন্য দারুণ উপকারী। এগুলোর ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন ই মস্তিষ্কের কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং চিন্তার তীক্ষ্ণতা বাড়ায়। এক মুঠো বাদাম সকালে দুধ বা দইয়ের সঙ্গে খেতে পারেন।

ফল
বিশেষ করে বেরিজাতীয় ফল—যেমন স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি বা ব্ল্যাকবেরি—মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বাড়ায় ও কোষ সুরক্ষা করে। কলা বা আপেলও সকালে তাত্ক্ষণিক শক্তি দেয়, মেজাজ ভালো রাখে।

কফি বা গ্রিন টি
পরিমিত কফি বা গ্রিন টি মস্তিষ্কের স্নায়ু উদ্দীপিত করে, মনোযোগ বাড়ায় এবং ক্লান্তি দূর করে। তবে অতিরিক্ত ক্যাফেইন উল্টো ফল দিতে পারে, তাই পরিমাণে সতর্ক থাকুন। তাই নাশতার সঙ্গে এক কাপ হালকা কফি বা গ্রিন টি রাখতে পারেন।

দই
গবেষণায় দেখা গেছে, দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া শুধু হজমই ভালো করে না, বরং মস্তিষ্কের সিগন্যালিং প্রক্রিয়াও উন্নত করে। এটি মন ভালো রাখে এবং মানসিক চাপ কমায়। সকালের ফল বা ওটসের সঙ্গে এক বাটি দই খেতে পারেন।

সকালের নাশতা আপনার দিনকে গঠন করে। তাই এক কাপ চা ও বিস্কুটে সীমাবদ্ধ না থেকে ডিম, ফল, বাদাম, ওটস বা দইয়ের মতো মস্তিষ্কবান্ধব খাবার বেছে নিন। নিয়মিত এমন নাশতা করলে শুধু শরীর নয়, মস্তিষ্কও কাজ করবে আরও দ্রুত, তীক্ষ্ণ ও সৃজনশীলভাবে।


সর্বশেষ সংবাদ