শিক্ষকের মৃত্যু

কুয়েটের অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অধ্যাপক মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে কমিটির প্রধান ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অধ্যাপক মহিউদ্দিন আহমাদসহ পাঁচ সদস্য উপাচার্যের কার্যালয়ে ৪৮ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা এবং পুলিশি তদন্তের ভিত্তিতে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এই প্রতিবেদন পর্যালোচনার পর সিন্ডিকেট এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

আরও পড়ুন: কুয়েট অধ্যাপকের মৃত্যু, ভিসি কার্যালয়ে ৪৮ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন আহমাদ কালের গণমাধ্যমকে জানান, তদন্ত প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ প্রভাবমুক্তভাবে তাঁরা তদন্ত করেছেন। প্রতিবেদনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: কুয়েট ছাত্রলীগ নেতার ‘আত্মহত্যা’ চেষ্টা!

এর আগে, গত ৩০ নভেম্বর ইইই বিভাগের অধ্যাপক ও লালন শাহ হলের প্রাধ্যক্ষ সেলিম হোসেন ক্যাম্পাসের পাশে ভাড়া বাসায় মারা যান। অভিযোগ ওঠে, মৃত্যুর দিন দুপুরে বাসায় ফেরার পথে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অধ্যাপক সেলিমকে বিভাগে তার কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে তার ওপর মানসিক নিপীড়ন চালানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বলছে, এটি হত্যাকাণ্ড।

আরও পড়ুন: দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ঘটনাটি তদন্ত করতে সেদিনই তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কুয়েট কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে বলা হয়।

আরও পড়ুন: কুয়েটের হল খুলছে ৭ জানুয়ারি, ৯ জানুয়ারি ক্লাস শুরু

তদন্ত কমিটির দুজন সদস্য অপারগতা জানালে সে দিনই পাঁচ সদস্যের আরেকটি নতুন কমিটি গঠন করা হয়। বাতিল করা হয় প্রথম তদন্ত কমিটি। দ্বিতীয় কমিটিতে ইইই বিভাগের অধ্যাপক মহিউদ্দিন আহমাদকে সভাপতি ও গণিত বিভাগের অধ্যাপক মো. আলহাজ উদ্দীনকে সদস্যসচিব করা হয়। নতুন কমিটিকে ১০ দিনের মধ্যে সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।

সিন্ডিকেট সভায় ক্যাম্পাস বন্ধের সময়সীমা প্রথম দফায় ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। পরে ২৩ ডিসেম্বর রাতে সিন্ডিকেট সভায় ছুটির মেয়াদ আরও এক দফা বাড়ানো হয়। সভায় ৭ জানুয়ারি হল খুলে ৯ জানুয়ারি ক্লাস শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়।

আরও পড়ুন: দোষীদের শাস্তি চায় কুয়েট ছাত্রলীগও

কুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রতীক চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, অধ্যাপক সেলিমের মৃত্যুর পর আমরা পাঁচ দফা দাবি করেছিলাম। তার মধ্যে একটা দাবি ছিল সন্দেহভাজন জড়িতদের সাময়িক বহিষ্কার করা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেটা করেছে। আমরা আমাদের আগের অবস্থানে এখনো আছি।


সর্বশেষ সংবাদ