দোষীদের শাস্তি চায় কুয়েট ছাত্রলীগও
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১১:২৩ AM , আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ০৩:০৯ PM
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অধ্যাপক মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় সত্যিকারের দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। বৃহস্পতিবার (০২ ডিসেম্বর) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ দাবি জানান শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান।
তিনি বলেন, স্যারের মৃত্যুর ঘটনায় কেউ যদি জড়িত থেকে থাকে তাহলে যেন তার উপযুক্ত শাস্তি হয়। অপরাধীকে কোনভাবে ছাড় দেওয়া যাবে না। আমরাও চাই, সত্যিকারের অপরাধী আইনের আওতায় আসুক। তবে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার আগ পর্যন্ত কাউকে যেন অপরাধী হিসাবে অপবাদ দেওয়া না হয়। এটা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
পড়ুন: কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি শিক্ষকদের, ক্লাস না নেয়ার সিদ্ধান্ত
এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে প্রশাসন ভবনের ভেতরে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ অবস্থান নেয়, যার মধ্যে অভিযোগের মুখে থাকা শিক্ষার্থীরাও ছিলেন। দুপুরের পর তারা উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের কিছু দাবির কথা স্যারকে জানিয়েছি। শিক্ষকদের সংগঠন আনুষ্ঠানিক সভার মাধ্যমে কোনো ধরনের তদন্ত ছাড়া শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছে। এর দ্বারা বিচারের নিরপেক্ষতা লঙ্ঘিত হয়েছে।
পড়ুন: তদন্ত কমিটি থেকে দুই শিক্ষকের পদত্যাগ
তিনি বলেন, ঘটনার নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধির সমন্বয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। যেখানে কুয়েটের কোনো শিক্ষক প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন না। তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের আগ পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা যাতে না নেয়, সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
এদিকে, অধ্যাপক মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির দুজন সদস্য ইতিমধ্যে পদত্যাগ করেছেন। কমিটি গঠনের দুদিন পর বৃহস্পতিবার দুই সদস্যের অপারগতা প্রকাশের কথা জানান কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক কাজী সাজ্জাদ হোসেন। তবে কেন তারা পদত্যাগ করেছেন এ বিষয়ে তাদের কোন পক্ষ থেকে কোন ধরনের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
পড়ুন: ‘অপবাদ’ সইতে না পেরে আত্মহত্যা চেষ্টা কুয়েট ছাত্রলীগ নেতার
ছাত্রলীগ ছাড়াও অধ্যাপক মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও।
অধ্যাপক সেলিমের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে দোষীদের চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারসহ চার দফা দাবিতে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করেছে শিক্ষক সমিতি। ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, আমরা শিক্ষকরা ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু স্বাভাবিক পরিবেশ চাই। যাতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা নিরাপদে ক্যাম্পাসে অবস্থান করাসহ নির্বিঘ্ন পদচারণা করতে পারেন।