নোবিপ্রবি নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে আহত শ্রমিক
- নোবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ১০:০৬ PM , আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ১০:০৬ PM
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) নির্মাণাধীন মেডিক্যাল সেন্টার থেকে পড়ে দুই নির্মাণ শ্রমিক আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) বিকালে দোতলায় কর্মরত অবস্থায় মাচা ভেঙ্গে পড়ে তারা মারাত্মকভাবে আঘাত পান।
আহত নির্মাণ শ্রমিকদের নাম মো. সানাউল্লাহ (৩০) এবং মো. রিয়াজ (২৮)। তাদের উভয়ের বাড়ি নোয়াখালীর সুবর্ণচরে।
জানা গেছে, তারা উভয়ে দোতলায় মাচায় দাঁড়িয়ে কাজ করছিলেন। হঠাৎ মাচা ভেঙে দুজনে নিচে পড়ে গিয়ে হাত-পা এবং বুকে মারাত্মকভাবে আহত হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের নোয়াখালী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এরআগে গত ২৯ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন শিক্ষক ও কর্মকর্তা কোয়াটারের ৬তলা থেকে পড়ে নির্মাণ শ্রমিক জুয়েল নিহত হয়। নির্মাণাধীন এসব ভবনে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল হওয়াই বারবার কর্মরত অবস্থায় আহত এবং নিহত হওয়ার কারণ বলছে বিশ্লেষকরা।
সরজমিনে দেখা যায়, নির্মাণাধীন ওই মেডিক্যাল সেন্টারে শ্রমিকদের জন্য কোনো সিকিউরিটি ক্যানোপি নেই। কর্মরত শ্রমিকদের নিরাপত্তা বেল্ট ও মাথায় হেলমেট নেই। কোনো প্রকার নিরাপত্তা ছাড়াই শ্রমিকরা কাজ করছেন।
নির্মাণাধীন মেডিক্যাল সেন্টারে কর্মরত কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিক জানান, নিরাপত্তার জন্য এখানে প্রতিরক্ষা জাল নেই। আমাদের গায়ে নিরাপত্তা বেল্ট, হেলমেট এগুলোর কিছুও নেই। নিরাপত্তা নিশ্চিত করলে এরকম দুর্ঘটনা থেকে আমরা রক্ষা পাব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তর থেকে জানানে হয়, জরুরিভাবে ক্যানোপি ব্যবহার করে শ্রমিকদের নিরাপত্তা বিধান করা প্রসঙ্গে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রধান প্রকৌশলী এ এস এম জিয়াউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক চিঠি নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠানের নিকট পাঠানো হয়। কিন্তু তারা এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। দীর্ঘদিন পর গত ২৮ অক্টোবর ঠিকাদার মাহমুদ হাসান শিবলু ওই চিঠিতেই সেফটি ক্যানোপি শিডিউল ধরা নেই লিখে স্বাক্ষর দিয়ে আবার পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরে প্রেরণ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এ এস এম জিয়াউদ্দিন বলেন, আমরা শ্রমিকদের নিরাপত্তা বিধান প্রসঙ্গে তাদের চিঠি দিয়েছি। এখন তারা যদি ব্যবস্থা না নেয় তাহলে তো আমাদের কিছু করার নেই। সেফটি ক্যানোপি শিডিউল ধরা তো আমাদের কাজ না। এটি তাদের কাজ। কোনো শ্রমিক আহত হলে তার দায়ভার তাদেরকেই নিতে হবে।