নোবিপ্রবিতে ট্রান্সফরমার চুরিতে বাধা দেয়ায় আনসার সদস্যকে মারধর
- নোবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০১৯, ০৯:২৮ AM , আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৯, ০৯:২৮ AM
শারদীয়া দুর্গাপূজার ছুটির ৩য় দিনে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে একটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত আনসার সদস্যরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তারা জানান, শনিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে একটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ক্যাম্পাসের মেইনগেটে দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের হাতে ধরা পড়ে দূর্বৃত্তরা। বাধা দিলে তাকে মারধর করে ট্রান্সফরমারটি নিয়ে যায়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়েরও একাধিক শিক্ষার্থী জড়িত আছে বলে জানান তারা।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার এবং প্রক্টরকে বিষয়টি জানালে প্রায় আধাঘন্টা পরে আবার ট্রান্সফর্মারটি ফিরেয়ে দিয়ে যায় তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত আনসার ফোর্সের প্রধান (পিসি) মো. হানিফ বলেন 'ঘটনার সাথে সাথে আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি, এর বেশি কিছু আমি বলতে পারব না।'
নাম না প্রকাশ শর্তে একজন আনসার সদস্য জানান, ঘটনার পরপরই তাদের পিসি সহ মারধরের শিকার আনসার সদস্যদের হুমকি দিচ্ছে ঘটনার সাথে জড়িতরা। জড়িতরা ছাত্রনেতা হওয়ায় কেউই মূল ঘটনা সম্পর্কে কথাবলছে না।
তিনি আরো বলেন, এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের অবাধ প্রবেশে বাধা দেয়া সহ নানা কারনে আনসার সদস্যদের মারধর করা হয়েছিল। এতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো শাস্তি না দিয়ে প্রতিবারই সমঝোতা করার চেষ্টা করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর মাহমুদুল হাসান রানা বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন ," চুরির ঘটনা জানতে পেরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের সনাক্ত করে ট্রান্সফরমারটি ফিরিয়ে আনার ব্যাবস্থা করেছে। তাদের পরিচয় জানা গেছে। ক্যাম্পাস খোলার পর তাদের বিচারের ব্যাবস্থা করা হবে"।
বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেসগুলোর শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসী জানান, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ মানেই চুরি। জানা গেছে, রাতের আধারে ক্যাম্পাস থেকে রড, পুরোনো ভাঙা স্টিলের আলমারী সহ নানা জিনিস চুরি হয়ে যায়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর দিকে আলুওলার মোড়ের হেলাল স্টিলে বিক্রি করা হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে পবিত্র ইদ উল আজহার ছুটিতে ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হল থেকে একটি এলইডি টেলিভিশন চুরির ঘটনা ঘটে। জানা গেছে ঐ ঘটনায়ও একই সিন্ডিকেট জড়িত ছিল। কিন্তু এই ব্যাপারে বিশবিদ্যালয় প্রশাসন কোনো কার্যকরী পদক্ষেপই নেয়নি বরং তৎকালীন দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত হল প্রভোস্ট ও প্রক্টর বিষয়টি এরিয়া যায়।
এ নিয়ে প্রায় প্রতিবারই বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি হলে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গা এবং হল থেকে চুরি হচ্ছে বিভিন্ন জিনিসপত্র। বারবার চুরির বিষয়টি প্রশাসনের দৃষ্টিপাত হলেও তাদের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয় নি।