কুয়েটে আরও বৃহৎ পরিসরে কেস কম্পিটিশন ‘কেসস্পেকস থ্রি’
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৩২ PM , আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৩৪ PM
তৃতীয়বারের মতো খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে হিলিও প্রেজেন্টস কেসস্পেকস থ্রি ২০২৫। একটি আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কেস কম্পিটিশন। ইভেন্টটির আয়োজক কুয়েটের শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করা ক্লাব স্পেক্ট্রাম। এবারের আয়োজনে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে যুক্ত রয়েছে দেশের শীর্ষ অনলাইন শিক্ষাবিষয়ক সংবাদমাধ্যম ডেইলি ক্যাম্পাস।
এবারের প্রতিযোগিতায় মোট ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রাইজ মানি থাকছে, যা একক কোনো ইভেন্ট হিসেবে কুয়েটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দলগুলো ব্যবসা-সম্পর্কিত বাস্তবমুখী সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে তাদের বিশ্লেষণী দক্ষতা ও সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটাবে।
এ বছরের কেসস্পেকস পূর্ববর্তী সব সংস্করণ থেকে আলাদা ও ব্যতিক্রমধর্মী। বিরল থিম হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে ৮০-এর দশকের ৮-বিট কম্পিউটার গেমস। এই থিমে অংশগ্রহণকারীরা শুধুমাত্র প্রতিযোগী নয়, তারা প্লেয়ারস, সমস্যাগুলো কেসেস, বিচারকরা গেম মাস্টারস এবং বিজয়ের সর্বোচ্চ অর্জন হবে হাই স্কোর। প্রতিযোগিতার প্রতিটি ধাপ উপস্থাপন করা হবে একটি পূর্ণাঙ্গ গেমের আলাদা লেভেল বা জোন হিসেবে, যা কুয়েটের ইতিহাসে এক অনন্য আয়োজন হিসেবে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
প্রতিযোগিতার কাঠামো
প্রথম রাউন্ড – Level 1: The Gateway
এই রাউন্ডে সকল দল একটি বাস্তবমুখী কেস অনলাইনে সমাধান করে জমা দেবে। এখান থেকে সেরা ৫০টি দল পরবর্তী রাউন্ডে উত্তীর্ণ হবে।
দ্বিতীয় রাউন্ড – Level 2: The Crossway Signal
এটি একটি OVC (Online Video Commercial) রাউন্ড। প্রদত্ত কেসের ওপর ভিত্তি করে দলগুলোকে একটি ভিডিও কমারশিয়াল তৈরি করতে হবে। এই রাউন্ড থেকে সেরা ৮টি দল চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নেবে।
চূড়ান্ত রাউন্ড – The Boss Battle
সেরা ৮টি দল কুয়েট ক্যাম্পাসে সরাসরি চূড়ান্ত কেস সলভ করে উপস্থাপন করবে। এখান থেকেই নির্ধারিত হবে চ্যাম্পিয়ন, প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপ। চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ১ লাখ টাকা, প্রথম রানারআপ ৬০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় রানারআপ ৪০ হাজার টাকা এবং বাকি ৫টি ফাইনালিস্ট দল পাবে ১০ হাজার টাকা করে।
১ থেকে ৪ সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত দলগুলো প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে। আগ্রহীরা আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে। ৩০ জানুয়ারি কুয়েট অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল রাউন্ড।
ইভেন্টটি সম্পর্কে স্পেক্ট্রামের সভাপতি নাহিয়ান লামিম বলেন, দুই বছর ধরে কেসস্পেকস বাংলাদেশের অন্যতম সফল একটি ইভেন্ট হলেও এবার আমরা এটাকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি। অংশগ্রহণকারীরা যেন নতুন কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে এবং এটিকে শুধু ইঞ্জিনিয়ারিং কেস কম্পিটিশন হিসেবে না দেখে বরং একটি জেনারেল কেস কম্পিটিশন হিসেবে গ্রহণ করে, সেভাবেই থিম, কনসেপ্ট ও ফরমেট সাজানো হয়েছে। প্রাইজ মানিও এমনভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে, যেন ফাইনাল রাউন্ডে আসা কেউ পুরস্কার ছাড়া না ফেরে। আমরা আশা করছি, আগের দুই বছরের তুলনায় এবার আয়োজনটি আরও জাঁকজমকভাবে সম্পন্ন হবে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, আগের আসর কেসস্পেকস টু কুয়েট ক্যাম্পাসে একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে পরিচিত। এতে সারা দেশ থেকে ৩৭২টি দল, ৪৬টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মোট ১,৩৮৯ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। সেই বিশাল সাড়া থেকেই এবারের আয়োজনকে আরও বড় পরিসরে নেওয়ার অনুপ্রেরণা পেয়েছে আয়োজকরা।