প্রেমিকার ফেসবুক-ব্যক্তিগত ছবি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ধরা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র

অভিযুক্ত তানভীর রিয়াদ
অভিযুক্ত তানভীর রিয়াদ  © টিডিসি ফটো

জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবিপ্রবি) এক ছাত্রীকে প্রেমের সম্পর্কের জেরে মারধর ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার অভিযোগে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের তানভীর রিয়াদ নামে এক শিক্ষার্থীকে পুলিশ আটক করে। পরবর্তীতে উভয়পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে মুচলেকা নিয়ে তাকে মেলান্দহ থানা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

বুধবার (১৩ আগষ্ট) বিকালে মেলান্দহ থানা থেকে তানভীর রিয়াদকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর আগে তাকে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে জামালপুর শহরের একটি মেসে থেকে তাকে আটক করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে জামালপুর শহরের একটি মেস থেকে তানভীরকে আটক করা হয়। তানভীরের সঙ্গে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই সময়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ও ল্যাপটপের সকাল তথ্য নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন। তাদের সম্পর্কের অবনতির পর তানভীর তার ব্যক্তিগত ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এর মধ্যেই গত সোমবার ওই ছাত্রীকে মারধর করে তার মোবাইল ও টাকা নিয়ে নেন বলেও অভিযোগ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান অলি উল্লাহ চৌধুরী, হল প্রভোস্ট মো. ফরহাদ ও কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান সুজিত রায়সহ সংশ্লিষ্টরা থানায় গিয়ে উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন। পরে ওই তানভীরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী জানান, ‘মোবাইল ও ল্যাপটপ সহ সকল আইডি নিয়ন্ত্রণে নেন তানভীর। গত সোমবার ওই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হাসপাতালে থেকে বের হবার সময় তানভীর রিয়াদ তাকে মারধর করেন এবং তার কাছে থেকে মোবাইল ও টাকা নিয়ে চলে যান। পরের দিন ওই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ও থানায় অভিযোগ করেন।’

এদিকে অভিযোগ দেওয়ার কথা শুনে তানভীর ওই ভুক্তভোগীর পরিবারকেও হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আপনার মেয়ের জামালপুর থেকে লাশ যাবে। ফোনে হুমকি দেওয়ার ঘটনা তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে জানান। পরে থানা পুলিশ জামালপুর শহরের একটি মেসে থেকে আটক করে তানভীরকে। মোবাইল ভেঙে ফেলেছে ও ফোন নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে তানভীর। তাই ওই মোবাইল ফোন নিতে চাই না। আর এই ঘটনায় আর মামলা বা আইনি বিষয়ে এগিয়ে যেতে চাচ্ছে না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগ চেয়ারম্যান অলি উল্লাহ্ চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরেই তদন্ত কমিটি করা হয়। বুধবার দুপুর ১২টায় মিটিং ডাকা হয়। এর মধ্যেই জানতে পারি ওই ছেলেকে পুলিশ আটক হয়েছে। পরে আমরা থানায় আছি। আমরা তাদের সাথে কথা বলে জানতে পারি তাদের ব্যক্তিগত ঘটনা ছিল। তারা দু'জনেই মুচলেকা দিবে এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে।’

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এক শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন ওই অভিযোগে আটক করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় প্রধানেরা এসে ছিলেন তারা ঘটনা সমাধান করেছেন। পরে আটক ওই শিক্ষার্থীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence