চুয়েটে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বই বিনিময় উৎসব অনুষ্ঠিত
- চুয়েট প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৫৭ PM , আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৫৭ PM

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) ২১ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত হয়েছে বই বিনিময় উৎসব ২০২৫। চুয়েটের ভাষা ও সাহিত্য সংসদের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) এই উৎসবের আয়োজন করা হয়।
বই পড়ার অভ্যাসকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আরও ছড়িয়ে দিতেই মূলত অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা যায়। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা নিজের পছন্দমতো বই সঙ্গে করে নিয়ে যান কয়েক দিন পড়ার জন্য। চুয়েটের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি চুয়েট স্কুল ও প্রদীপ স্কুলের শিক্ষার্থীদেরও এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়।
চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আজওয়াদ আখলাক তানভীর বলেন, ‘আমার প্রিয় সাহিত্যিকদের জনপ্রিয় বইগুলোকে হাতের নাগালে নিয়ে আসার জন্য ভাষা ও সাহিত্য সংসদকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। চুয়েট শহর থেকে দূরে হওয়ায় এই বইগুলো শহর থেকে নিয়ে আসা কষ্টকর। তাই সম্প্রতি এই বই বিতরণ অনুষ্ঠানের জন্য আমার এই কষ্ট লাঘব হয়েছে। আমি চাই এই প্রোগ্রাম আরও বৃহৎ পরিসরে হোক। যেন আমরা সাহিত্যপ্রেমীরা খুব সহজে নিজের পছন্দমত বই সংগ্রহ করতে পারি।’
আরও পড়ুন: জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সমর্থনকারী ঢাকা কলেজ শিক্ষককে ওএসডি, শিক্ষার্থীদের অসন্তোষ
অনুষ্ঠানের একজন আয়োজন চুয়েটের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইফতেখার মাহমুদ বলেন, ‘ইঞ্জিনিয়ারিং জীবনের ব্যস্ততম শিডিউলের কারণে অনেক বইপ্রেমী মানুষও বই পড়ার আগ্রহ দিন দিন হারিয়ে ফেলছে। তাই শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাসকে টিকিয়ে রাখতেই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। আমরা আজকের অনুষ্ঠানে দেখতে পেয়েছি চুয়েটের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি চুয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্ররাও বই বিনিময় উৎসবে আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। পাশাপাশি প্রদীপ স্কুলের ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা আমাদের স্টল ঘুরে দেখেছে; যা আমাদের প্রোগ্রামকে আরো প্রানবন্ত করেছে ‘
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিয়মিত বই বিনিময় উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই পড়ার প্রবণতাকে জাগ্রত রাখতে পারব বলে আশাবাদী। এর পাশাপাশি আমরা ক্যাফেটেরিয়াতে বিভিন্ন কর্নারে ক্লাবের পক্ষ থেকে বুক শেলফ বানানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। এইটা বাস্তবায়ন হলে আশা করছি ক্যাফেটেরিয়ায় সময় কাটানোর পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা বই পড়ার প্রতিও আগ্রহী হবে এবং অবসর সময়কে বই পড়ার কাজে লাগাতে পারবে। ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের সহায়তা পেলে খুব শিগগির আমরা এগুলো প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’