হাবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের সাথে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৮:১৩ PM , আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৮:১৬ PM
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুর সাড়ে তিনটার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেইটে উপস্থিত হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেন।
এসময় তারা ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘মেধা যার মেধা যার, চাকরি তার চাকরি তার’, ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম ও এডভাইজরি বডির সদস্যসহ প্রশাসনের কর্তারা উপস্থিত হন। তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেয়ার জন্য অনুরোধ করলে শিক্ষার্থীরা ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিয়ে তাদের সরিয়ে দেন।
পরে মেইন গেইট থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে ফার্স্ট গেইটের দিকে যায়। এরপর সেই মিছিল আবার ব্যাক করে মেইন গেইট অতিক্রম করে ভেটেরিনারি গেইটের দিকে অগ্রসর হয়।
সেসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেইটে ছাত্রলীগ সভাপতি আলমগীর হোসেন আকাশ ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা মিঠুর নেতৃত্বে ছাত্রলীগ অবস্থান নেয়। নেতাকর্মীরা মেইন গেটের পাশে অবস্থান নিলে মিছিল যাওয়ার সময় উত্তেজনা তৈরি হয়।
দীর্ঘ দুই ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখার পর বিকাল ৫ টার দিকে ছাত্রলীগের সাথে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাঁধে। উভয় পক্ষের মাঝে ইট-পাটকেল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে ধাওয়া-পাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন মহাসড়ক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। দুই পক্ষের ইটপাটকেল নিক্ষেপের প্রায় দেড় ঘণ্টা পর সাড়ে ৬টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে সাধারণ শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের কয়েকজনকে আহত অবস্থায় দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সংঘর্ষের বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মামুনুর রশিদ বলেন, বিকেল ৫টা থেকে প্রায় দেড়ঘণ্টা দুই পক্ষের মাঝে সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে। এতে কয়েকজন আহত হওয়ায় কথা শুনেছি।