গণতন্ত্রের বিকাশের মাধ্যমেই তথ্য প্রযুক্তি বিকশিত হবে: বুয়েট ভিসি

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন বুয়েট উপাচার্য
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন বুয়েট উপাচার্য  © টিডিসি ফটো

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেছেন, ‘উন্নয়ন করতে হলে প্রয়োজন প্রযুক্তি। গণতান্ত্রিক সরকার ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব না। গণতন্ত্রের বিকাশের মাধ্যমেই বিকশিত হবে তথ্য প্রযুক্তির।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিল ভবনে সোমবার সন্ধ্যায় (১৯ ডিসেম্বর) “বাংলাদেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্র” শীর্ষক এক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খাঁন বলেন, ‘আমরা দূরত্বকে এখন আর কিলোমিটার কিংবা মাইলে নির্ণয় করি না। এখন আমরা দূরত্বকে সময় দিয়ে প্রকাশ করছি। এটিই উন্নয়নের নিদর্শন। এই উন্নয়নগুলো গণতন্ত্রের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।’

আলোচকের বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ. আ. ম. স. আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘উন্নয়ন সুসংহত হবে যদি গণতন্ত্র থাকে। উন্নয়ন ও গণতন্ত্র একই সুতোয় গাঁথা। এটি একটি মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। আর এসবের মূল ভীত হলো শিক্ষা।’

দি ইনস্টিটিউট অফ চাটার্ড একাউন্টেন্ট অব বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পাকিস্তান কর্তৃক বাংলাদেশ শাসনের ২৩ বছরে ৫০ লক্ষ কোটি টাকার সম্পদ সরিয়ে নেয় পাক সরকার। ব্যাংক থেকে লিকুইড মানিও সরিয়ে নিয়েছিল তারা’। বাংলাদেশের ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের শাসনকে স্বর্ণ যুগ বলেনও মন্তব্য করেন ড. তিনি।

একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক অজয় দাস গুপ্ত বলেন, ‘বুয়েট একটি ভরসার জায়গা। বুয়েট অনুমোদিত দেখলেই আমরা আস্থা পাই।’ উন্নয়ন ও গণতন্ত্র নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার প্রযুক্তি উন্মুক্ত করে দিয়েছে এটিই গণতন্ত্র। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রযুক্তি অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে।’

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সাবেক সদস্য অধ্যাপক ডা. শাহ আব্দুল লতিফ গণতন্ত্রের স্থিতিশীলতার কারণে দেশের স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন অর্জনের কথা তুলে ধরেন তাঁর বক্তব্যে। এছাড়া রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোকে উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা প্রদান করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক ড. এস এম আনোয়ারা বেগম।

বুয়েট ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. ফারসীম মান্নান মোহাম্মদীর সঞ্চালনায় সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ।

সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের ডিনবৃন্দ, বিভিন্ন পরিদপ্তরের পরিচালকবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধানগণ, বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, ছাত্র-ছাত্রী ও বিশিষ্টজনেরা।


সর্বশেষ সংবাদ