কর্মচারীদের আন্দোলনে অবরুদ্ধ বশেমুরবিপ্রবি ভিসি, তিন ঘণ্টা পর মুক্ত
- বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৩, ১১:৩৭ PM , আপডেট: ২০ আগস্ট ২০২৫, ১০:৩৮ AM
গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচির কারণে অবরুদ্ধ হয়ে পড়া উপাচার্য প্রফেসর ড. একিউএম মাহবুবকে প্রায় তিন ঘণ্টা পর মুক্ত হয়েছেন। বুধবার (১৭ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী কর্মচারীরা কলাপসিবল গেট ভেঙে তাকে মুক্ত করা হয়।
এর আগে এদিন সকাল ১০টার দিকে চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান শেষে ১৩৪ জন দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী উপাচার্যের কলাপসিবল গেট তালাবদ্ধ করে রাখে। এ সময় দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মচারীরা করিডোরে শুয়ে পড়ে চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে নানা স্লোগান দেন।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনের মেয়াদে বিভিন্ন কাজের জন্য দৈনিক মজুরিভিত্তিক ১৫২ জন কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১৮ জনের চাকরি স্থায়ী করা হয়। বাকি ১৩৪ জন কর্মচারী চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে বিভিন্ন সময় নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে। তখন বর্তমান ভিসি এসব কর্মচারীদের স্থায়ীকরণে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
দৈনিক মজুরিভিত্তিক ঝাড়ুদার রিক্তা বেগম বলেন, বর্তমান ভিসির মেয়াদ ২ বছর ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও মাত্র ১৮ জনের চাকরি স্থায়ী করা হয়েছে। আমরা বাকি ১৩৪ জন পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমরা চাই একটি নিয়োগের মাধ্যমে আমাদের চাকরি স্থায়ী করা হোক।
আরও পড়ুন: চবির মূল ফটক অবরোধ ছাত্রলীগের
সিকিউরিটি গার্ড মোহাম্মদ আলী বলেন, আমরা দীর্ঘ ৭-৮ বছর দৈনিক মজুরিভিত্তিক কাজ করছি। বিভিন্ন সময় চাকরি স্থায়ী করার আশ্বাস দেওয়া হলেও কোনো কাজ হয়নি। এই ভিসি আসার পর মাত্র ১৮ জনের চাকরি স্থায়ী করা হয়েছে। এই দ্রব্যমূল্যের বাজারে আমরা খেয়ে না খেয়ে জীবনযাপন করছি। আমরা চাই অনতিবিলম্বে আমাদের চাকরি স্থায়ী করা হোক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মো. তরিকুল বলেন, ‘সামনে সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটা ইস্যু বানানোর চেষ্টা করছে। কারণ এটি প্রধানমন্ত্রীর জেলা। এই অরাজকতার আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।’ তবে গেট ভাঙার বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১০টায় জরুরি মিটিংয়ে আমরা ভিসি স্যারের রুমে ছিলাম। হঠাৎ করে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভিসি স্যারের রুমের সামনে শোরগোল শুনতে পাই। পরে খবর পাই চুক্তি ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা ভিসি দপ্তরের সামনের গেটে তালা মেরে আমাদের অবরুদ্ধ করে রাখে।
রেজিস্ট্রার দলিলুর রহমান বলেন, তারা কেন আন্দোলন করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এটি অবগত নয়। কোনো প্রকার নোটিশ ছাড়াই তারা আন্দোলন করছে। তারা চাচ্ছে এখনই তাদের চাকরি স্থায়ী করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন চাকরি স্থায়ী করতে পারে না। তারা যদি তালা না দিয়ে এসে কথা বলত সেটি একটি বিষয় ছিল।