বিভাগের চেয়ারম্যানসহ ৪ শিক্ষককে পেটালেন হাবিপ্রবির এক কর্মচারী

  © সংগৃহীত

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের সিভিল বিভাগের এক কর্মচারী চার শিক্ষককে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে ওই কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে একাডেমিক ভবন–২–এর তৃতীয় তলায় বিভাগের চেয়ারম্যানের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

আহত শিক্ষকেরা হলেন বিভাগের চেয়ারম্যান রোকনুজ্জামান (৩৫), সহযোগী অধ্যাপক বেলাল হোসেন (৩৫), প্রভাষক হারুন অর রশিদ (৩০) ও নির্মল চন্দ্র রায় (৩০)। এছাড়া প্রভাষক পদে সদ্য নিয়োগ পেয়ে যোগ দিতে আসা মাহাবুব হোসেনও মারধরের শিকার হয়েছেন। তাঁরা সবাই দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

অভিযুক্ত ওই কর্মচারীর নাম তাজুল হোসেন (৪২)। তাঁর বাড়ি কিশোরগঞ্জে। ২০ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক পদে কর্মরত। পরে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মামুনুর রশিদ।

জানা যায়, আজ বিভাগের শিক্ষক-ছাত্র, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একাডেমিক শিক্ষাসফরের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সবার সকাল সাড়ে আটটার মধ্যে বিভাগে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাজুল ইসলাম পৌঁছাতে দেরি করেন। বারবার তাঁকে কল করা হলে তিনি তা কেটে দিচ্ছিলেন। সকাল সোয়া নয়টার দিকে বিভাগে উপস্থিত হলে চেয়ারম্যান রোকনুজ্জামান তাঁর কাছে দেরি করার কারণ জানতে চান। এ সময় তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি। এ নিয়ে কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে টেবিলে রাখা কফির মগ দিয়ে উপস্থিত শিক্ষকদের মাথায় এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকেন তাজুল। তাঁদের চিৎকারে পাশের কয়েকটি কক্ষ থেকে অন্যরা এসে তাজুলকে আটক করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কয়েক দিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭০ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আজ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে প্রভাষক পদে যোগ দিতে এসেছিলেন মাহবুব রহমান। প্রথম দিনই তিনি মারধরের শিকার হয়েছেন।

আহত শিক্ষকদের বিষয়ে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আবু রেজা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, আহত চারজনের মাথার খুলি ফেটেছে। আরেকজনের ঠোঁট কেটে গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মামুনুর রশিদ বলেন, অভিযুক্ত অফিস সহায়ক তাজুল ইসলাম মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ। বছর তিনেক আগেও ওই কর্মচারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্ম সুপার গোলাম সারোয়ারের গায়ে হাত তুলেছিলেন। ওই ঘটনায় তিনি কিছুদিনের জন্য সাময়িক বরখাস্তও ছিলেন।

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতির এক নেতা বলেন, প্রশাসন কিংবা শিক্ষক—কোনো জায়গাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা ভালো ব্যবহার পান না। তাজুল ইসলামের কোনো মানসিক সমস্যা নেই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম কামরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। অভিযুক্ত কর্মচারীর বিরুদ্ধে খুব শিগগির বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence