সাফের ফাইনালে মাঠে নামবে যবিপ্রবির নীলা

নিলুফার ইয়াসমিন নীলা
নিলুফার ইয়াসমিন নীলা  © টিডিসি ফটো

২০১৬ সালের পর দ্বিতীয়বারের মত মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। এখনো পর্যন্ত ৪ ম্যাচে বাংলাদেশ দল বিপক্ষ দলের জালে ২০ গোল জড়ালেও হজম করতে হয়নি একটাও। এই অসম্ভবকে যারা সম্ভব করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম একজন নিলুফার ইয়াসমিন নীলা।

কেবল প্রতিপক্ষ দলের আক্রমণ ভাঙা নয়, মিডফিল্ডারদের বলও সরবারহ করেছেন নিয়মিত। আগামীকাল (১৯ সেপ্টেম্বর) সাফের ফাইনালের আগে নীলাকে নিয়ে লিখেছেন জহুরুল ইসলাম।

কুষ্টিয়ার থানা পাড়ার মেয়ে নিলুফার ইয়াসমিন নীলা ফুটবল খেলা শুরু করেন স্কুলে পড়াকালীন সময়ে। জাতীয় দলের আগে অনূর্ধ্ব-১৪ থেকে বয়স ভিত্তিক প্রায় সব দলেই খেলে এসেছেন। ছিলেন সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ এবং ১৯ এর চ্যাম্পিয়ন দলেও। বর্তমানে পড়ালেখা করেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষে। বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলে খেলেন ডিফেন্ডার হিসেবে।

সাফের ফাইনাল নিয়ে জানতে চাইলে নীলা বলেন, 'আমি ২০১৬ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ দলের সদস্য থাকলেও মাঠে নামার সুযোগ হয়নি। ২০১৯ সালের সাফেও দলে ছিলাম। এটা আমার ৩য় সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ। আমার অনেক ভালো লাগছে যে আমরা ফাইনালে উঠেছি। গ্রুপ পর্বে আমরা ভারতকে হারিয়েছি। সেমিফাইনালে বড় ব্যবধানে ভুটানকে হারিয়েছি। নেপালের সাথে ফাইনাল খেলা, আমরা চাইবো এ সুযোগটাকে কাজে লাগাতে।

আরও পড়ুন: সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভুটানকে গুঁড়িয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

এছাড়া সবার দোয়া'তে আমরা ফাইনালে উঠেছি। ফাইনালের জন্য যবিপ্রবি পরিবার তথা দেশের মানুষের কাছে দোয়া চাই আমরা যেন ফাইনালে জিততে পারি। সবাই যেন আমাদের খেলাকে আরও বেশি উৎসাহ দেয়।

ভবিষ্যত স্বপ্নের কথা জানতে চাইলে নীলা বলেন, আমি যেহেতু খেলার মধ্যে আছি। নিয়মিত জাতীয় দলে খেলছি। আর আমার বয়স ও এখনো বেশি হয়নি। আমি অনেকগুলো বয়স ভিত্তিক দলেও খেলেছি। আমাদের বয়স ভিত্তিক দলের তুলনায় জাতীয় দল যেহেতু একটু পিছিয়ে আছে। আমার স্বপ্ন নিজে পারফর্ম করে দেশকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে। দেশকে জয় এনে দিয়ে র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে যেতে চাই। 

নীলা আরও বলেন, আমার ইচ্ছা ছিলো খেলাধুলার মধ্যে থেকে এবিষয় নিয়ে পড়াশোনা করা। এই উদ্দেশ্যে আমি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়েছি। আমি চাই ভবিষ্যতে জাতীয় ক্রীড়া এগিয়ে নেওয়ার সাথে সাথে আমার পড়ালেখা শেষ করা। যাতে নিজের অর্জন ও ক্রীড়া জ্ঞানকে অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারি। সর্বোপরি খেলাধুলা এবং পড়ালেখা দুইটা নিয়েই আমি এগিয়ে যেতে চাই।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence