এমপিওভুক্ত হতে পারছেন না অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকরা

শিক্ষা মন্ত্রণালয়
শিক্ষা মন্ত্রণালয়  © ফাইল ফটো

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি করার জন্য নতুন নীতিমালার কাজ শেষ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিগগিরই এটি জারি করা হবে। আগেরটি সহজ করে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে। তবে এমপিওভুক্ত হতে হলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। নতুন নীতিমালার খসড়া চূড়ান্ত করে অনুমোদনের জন্য শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির নিকট প্রেরণ করা হয়েছে বলে সূত্র জানায়।

জানা গেছে, শিক্ষামন্ত্রীর অনুমোদন পেলে নীতিমালা জারি করবে মন্ত্রণালয়। ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ)-এর জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১’ নামে নীতিমালায় কিছু নতুনত্বও রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আগামী ফেব্রুয়ারিতেই নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার আবেদন গ্রহণ শুরু হতে পারে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সম্প্রতি এ ধরনের ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন।

নতুন নীতিমালায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাসের হারের শর্তে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে এমপিওভুক্ত হতে শিক্ষার্থী সংখ্যা মফস্বলে ও শহরে বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকরা এবারও এমপিওভুক্ত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না বলে জানা গেছে। বেসরকারি কলেজগুলোর অনার্স ও মাস্টার্স শিক্ষকরা আগে থেকেই এমপিওভুক্ত হতে পারেন না। সংশোধিত নীতিমালায় তারা অন্তর্ভুক্ত হবেন বলে আশা করলেও তা হচ্ছে না বলে সূত্র জানিয়েছে।

শিক্ষকরা বলছেন, দেশের ৩৫০টি এমপিওভুক্ত ডিগ্রি কলেজে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্সে পাঁচ হাজারের বেশি শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এমপিওভুক্তির নীতিমালার জনবল কাঠামোতে তাদের অন্তর্ভুক্ত না করায় এমপিও সুবিধা পাচ্ছেন না। এতে তারা চরম অসহায় অবস্থায় রয়েছেন। বেশিরভাগ শিক্ষক-কর্মচারী এখন বেতনও পাচ্ছেন না। ফলে দুর্ভোগ বেড়েছে, শিক্ষক হওয়ায় মানুষের কাছে হাতও পাততে পারছেন না তারা।

বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফোরামের আহ্বায়ক নেকবর হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী তাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হলেও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেতন-ভাতার দায়িত্ব নেয়া হয় না। করোনাকালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে তাদের আর্থিক সহায়তা দিতে বারবার অনুরোধ করা হলেও উপাচার্য তাতে রাজি হননি।’


সর্বশেষ সংবাদ