লাইনে দাঁড়িয়ে বাজার করলেন শিক্ষামন্ত্রী
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২১ মে ২০২০, ০৫:৪৬ PM , আপডেট: ২১ মে ২০২০, ০৭:৩২ PM
সারাবিশ্বে চলমান করোনাভাইরাস মহামারিতে অসহায় হয়ে পড়েছেন মানুষ। এ রোগের এখনো ওষুধ তৈরি না হওয়ায় প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এ অবস্থায় কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হচ্ছে।
বাংলাদেশেও করোনাভাইরাস ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় দারুণ একটি দৃশ্যের অবতারণা করলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে লাইনে দাঁড়িয়ে বাজার করলেন তিনি। এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঘুরছে।
বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক রাশেদ শাহরিয়ার পলাশ তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘কিছু জিনিস নিয়ে গর্ব করা যেতেই পারে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী কিংবা জার্মানির চ্যান্সেলর অথবা বিল গেটস লাইনে দাঁড়িয়ে খাবার কিনতেই পারেন। কারণ তারা জন্মগতভাবেই সেই সংস্কৃতিতে বড় হয়েছেন।’
তিনি লেখেন, ‘অপরকে সম্মান করা দেখেই শিখেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের পরিবেশে বড় হওয়া, এখনকার রাজনীতিতে অভ্যস্ত মানুষ শুধু সুযোগ নিতেই শেখেন। অপরের অধিকারকে সম্মান করার মানুষ খুব একটা নেই। তার মধ্যেই ব্যতিক্রম শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।’
সাংবাদিক মাকসুদুল হাসান রাহুল ছবিটি ফেসবুকে শেয়ার করেছেন। তাতে তিনি লিখেছেন, ‘মীনা বাজারের সামনে জনকাতারে দাঁড়িয়ে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আপা!’
ঘটনার বিবরণ দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, ‘সুপার শপটির ম্যানেজার উনাকে লাইন ভেঙে সবার আগে শপে প্রবেশের কথা বললেও শ্রদ্ধেয় শিক্ষামন্ত্রী আগে যেতে অস্বীকৃতি জানান এবং লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে সাধারণ নিয়ম অনুসরণ করে শপে ঢোকেন!’
তিনি বলেন, ‘বিদেশী কোনো শিক্ষামন্ত্রী এমন কাজ করলে তো ফেসবুক প্রশংসার জোয়ারে ভেসে যেতো! চলুন নিজের দেশ ও দেশের কর্তাব্যক্তিদের ভালো কাজগুলোরও একটু ব্র্যান্ডিং করি।’
জানা গেছে, করোনার কারণে আউটলেট একসাথে ২৫ জনের বেশি থাকতে পারেন না। তাই বাইরে লাইনে দাঁড়াতে হয়। একজন বের হলে নতুন আরেকজন প্রবেশের সুযোগ পান। সে নিয়ম মেনেই লাইনে দাঁড়ান শিক্ষামন্ত্রী।
সাংবাদিক রুদ্র ইমরান লিখেছেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনি লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন, এবার আপনি মীনা বাজারে প্রবেশের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছেন। সত্যিই আমরা চাঁদপুর-৩ আসনের ভোটার হিসেবে গর্ব করে বলতে পারি যে, আমরা একটি সত্যিকারের মানুষ পেয়েছি।’
তিনি লেখেন, ‘এই আসনে চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলা স্বাধীনতার পর আপনার মতো কোনো সংসদ সদস্য আসেনি। হাইমচরের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করেছেন। আমরা কখনো ঋণ শোধ করতে পারব না।’