নিজ জেলায় কর্মরত শিক্ষকদের যে কারণে বদলির আওতায় না আনার প্রস্তাব
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:১০ PM
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি শুরু করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এজন্য সফটওয়্যার তৈরি এবং বদলি নীতিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংশোধীত হতে যাওয়া নীতিমালায় নিজ জেলায় কর্মরত শিক্ষকদের বদলির আওতায় না আনার প্রস্তাব করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। কী কারণে এমন প্রস্তাব করা হয়েছে সেই প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষকরা।
এমন প্রস্তাবের কারণ জানতে সোমবার (১৭ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের একাধিক কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস। তারা জানিয়েছেন, আগের বদলি নীতিমালায় নিজ জেলায় কর্মরত শিক্ষকদের বদলি করা যাবে কিংবা করা যাবে না এমন কোনো বিষয় উল্লেখ নেই। সংশোধীত হতে যাওয়া নীতিমালায় বিষয়টি যেন উল্লেখ থাকে সেজন্য এমন প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) মো. মিজানুর রহমানের কাছে গেলে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি। নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘নিজ জেলায় কর্মরত শিক্ষকদের বদলি প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হলে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে বলে মাউশি কর্মকর্তারা মনে করেন। তাদের মতে, যারা নিজ জেলা থেকে বহু দূরে কর্মরত, তাদের বদলিই এখন বেশি অগ্রাধিকার পাওয়ার যোগ্য।’
কোনো কোনো জেলায় এক উপজেলা থেকে আরেক উপজেলার দূরত্ব শত কিলোমিটারের বেশি। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে এক জেলা থেকে আরেক জেলার দূরত্ব ১০-২০ কিলোমিটার। তাহলে কেন নিজ জেলায় কর্মরত শিক্ষকরা বদলির সুযোগ পাবেন না? এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, নিজ জেলায় কর্মরত শিক্ষকদের বদলি বিষয়টি নীতিমালায় উল্লেখ নেই। এজন্য মাউশির কর্মকর্তারা এ প্রস্তাব করেছে। নীতিমালা সংশোধনের পূর্বে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’
জানা গেছে, এনটিআরসিএ কর্তৃক সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকরা নিয়োগ পেলেও দীর্ঘদিন একই প্রতিষ্ঠানে থেকে যান, যা শিক্ষকতা পেশার বিকাশে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। এজন্য স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বদলির সুযোগ চালুর উদ্যোগ নেয় সরকার। তবে সফটওয়্যারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় এক দফায় কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। দ্বিতীয় দফায় ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা বদলির সুযোগ দাবি করে আদালতে রিট করলে আবারও এ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
যদিও এবার আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে শিক্ষকদের বদলির সুযোগের। জানা গেছে, এ কর্মশালার পর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের বদলি শুরুর বিষয়ে বলা যাবে।