অবসর বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টে  যুক্ত হতে চান ৮০ জন, অধিকাংশই বিএনপি-জামায়াতপন্থি

ব্যানবেইস ভবন
ব্যানবেইস ভবন  © ফাইল ছবি

বেসরকারি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা বোর্ড এবং কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য হতে আবেদন করেছেন ৮০ জন।  আবেদনকৃতদের প্রায় সবাই বিএনপি-জামায়াতপন্থি বলে জানা গেছে। এছাড়া জাতীয় নাগরিক পার্টির দুই সদস্য দুই সংস্থার সদস্য হতে আবেদন করতে পারেন বলে জানা গেছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর অবসর সুবিধা বোর্ড এবং কল্যাণ ট্রাস্টের বোর্ড পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বোর্ডের মূল দায়িত্বে আগের কর্মকর্তারাই থাকছেন। তবে সদস্য পদে বিএনপি-জামায়াতপন্থি শিক্ষকরা আবেদন করেছেন। আবেদনকৃত ৮০ জনের পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হয়েছে। তবে এই ৮০ জনের মধ্যে বিএনপি এবং জামায়াতের কতজন করে রয়েছে তা জানা সম্ভব হয়নি।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের শীর্ষ এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘অবসর বোর্ড ‍ও কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য হতে আবেদনকৃতদের পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হয়েছে। এটি সিলগালা অবস্থায় রয়েছে। শিক্ষা উপদেষ্টার সবুজ সংকেত পেলে সদস্য হিসেবে ২৮ জনকে মনোনয়ন দেওয়া হবে।’

জানা গেছে, বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর এবং কল্যাণ ট্রাস্টের অর্থ দ্রুত সময়ের মধ্যে দিতে বোর্ড ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রতি সংস্থায় ১৭ জন করে মোট ৩৪ জন থাকবেন। এর মধ্যে তিনজন করে আমলা এবং ১৪ জন করে শিক্ষক প্রতিনিধি থাকবেন। শিক্ষক প্রতিনিধিদের মধ্যে একজন করে অধ্যক্ষ থাকবেন। আগামী এক মাসের মধ্যে বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হতে পারে।

বিশেষ অডিটের আওতায় আসছে অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্ট

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, শিক্ষকদের অবসরের পর টাকা পেতে নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিগত সরকারের আমলে কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ডে সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাট হয়েছে। এজন্য বিশেষ অডিটের উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ অডিটের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির যাবতীয় বিষয় যাচাই করা হবে। কেন শিক্ষকদের টাকা ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক এবং পদ্মা ব্যাংকে রাখা হয়েছিল সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।

এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব রেহানা পারভীন বলেন, অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টে নানা সঙ্কট রয়েছে। এ সঙ্কট নিরসনে বিশেষ অডিট পরিচালনা করা হবে। এ অডিট হলে সামগ্রিক চিত্রটি উঠে আসবে।


সর্বশেষ সংবাদ