ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বরখাস্ত হলেন বিসিএস ক্যাডারের ১০ কর্মকর্তা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি  © ফাইল ছবি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমক ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার জেরে ১০ জন বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্তের অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে একজন প্রশাসন, ৫ জন শিক্ষা, মৎস একজন, প্রাণী সম্পদ এবং বিসিএস সিভিল ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা রয়েছেন।

বরখাস্ত হওয়া বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তারা হলেন- গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, ওএসডি অবস্থায় থাকা সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ। শিক্ষা ক্যাডারের প্রভাষক অসীম চন্দ্র সরকার, তানভীর খান, মো. আনোয়ার হোসেন ফকির, মো. রফিকুল ইসলাম এবং শাহাদাত উল্লাহ। এছাড়া উপজেলা মৎস কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকেৌশলী মোহাম্মদ শাহ আরেফীন। 

জানা গেছে, গত ১৭ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনাগুলো প্রকাশ্যে আসার পর  বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার এবং ২৫ ক্যাডার কর্মকর্তারা প্রতিবাদ শুরু করেন। সচিবালয়েল মতো জায়গায় শোডাউন দেন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা। অন্যদিকে ২৫ ক্যাডারদের সংগঠন আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিসদের ব্যানারে নানা কর্মসূচি পালিত হয়।

প্রশাসন ও ২৫ ক্যাডারের কেউ কেউ জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধানসহ ঊর্ধ্বতনদের কঠোর সমালোচনা করেন। অনেকে নিজের মনের ক্ষোভ ফেসবুকে প্রকাশ করেন। এরপর এই কর্মকর্তাদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হয়। 

এ বিষয়ে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক ড. মুহম্মদ মফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পরিষদ মনে করে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়া ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রত্যয় নিয়ে ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ সরকারের আমলে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও অধিকার ক্ষুণ্ন করায় পরিষদ তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে। জনবান্ধব সিভিল সার্ভিস গঠনসহ বর্তমান সরকার যেসব সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, তা যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে সরকারকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে পরিষদ।’

সার্বিক বিষয়ে জানতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো: মোখলেস উর রহমানকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


সর্বশেষ সংবাদ