অবরুদ্ধ সেসিপ প্রোগ্রামের কর্তারা

শিক্ষা ভবনের একটি বিল্ডিংয়ের গেইট বন্ধ করে দেন আন্দোলনকারীরা
শিক্ষা ভবনের একটি বিল্ডিংয়ের গেইট বন্ধ করে দেন আন্দোলনকারীরা  © টিডিসি ফটো

সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের (সেসিপ) ১ হাজার ১৮৭ কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তরের দাবিতে প্রোগ্রামের যুগ্ম পরিচালক শামসুন নাহারসহ কয়েকজন কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন কর্মীরা৷  তারা রাজস্বখাতে স্থানান্তরের দাবি জানাচ্ছেন। 

বুধবার (২১ আগস্ট) রাতে রাজধানীর আবদুল গণি রোডে শিক্ষা ভবন ক্যাম্পাসে ২নম্বর ভবনে প্রোগ্রামের অফিসে কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। শিক্ষা ভবন ক্যাম্পাসে গত ১৮ আগস্ট থেকে আন্দোলন করছেন সেসিপ কর্মীরা। 
পরে শিক্ষা ভবনে এসে পৌঁছেছে সেনাবাহিনী। এছাড়া কয়েকজন শিক্ষার্থী এসেছেন। তারা কর্মীদের শান্ত করার চেষ্টা করছেন।

ইতোমধ্যে সেসিপ কর্মীরা ইএমআইএস সার্ভার (বেসরকারি স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এমপিও প্রক্রিয়াকরণের সফটওয়্যার) ডাউন করে দিয়েছেন। ফলে এমপিওভুক্তির কোন কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না।

আরও পড়ুন: একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখে নতুন শিক্ষাক্রমের বৈশ্বিক গুণ-মান অর্জন

সেসিপ কর্মীরা বলছেন—জেপিডি আমাদের চাকরি রাজস্বখাতে না নিয়ে উল্টো প্রোগ্রামের মেয়াদ বাড়ানোর বায় তারা করছেন৷ তাই তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তরের আগে আমরা তাদের ছাড়বো না।

শিক্ষাভবন ক্যাম্পাসে কয়েকশো সেসিপ কর্মী অবস্থান নিয়ে চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তরের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করছেন। তারা জানান, মাঠ পর্যায়ে মাধ্যমিক শিক্ষার কার্যক্রম পরিচালনায় সরকারি নানা দায়িত্ব পালন করলেও প্রকল্পের অধীনে কর্মরত থাকায় তারা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

এর আগে গত ১৮ আগস্ট সকাল থেকে শিক্ষাভবনে অবস্থান নিয়ে তারা চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তরের দাবি জানান সেসিপের কর্মীরা। তারা জানান, আমরা দীর্ঘদিন থেকে রাজস্বখাতে স্থানান্তরের দাবি জানিয়ে আসছি। আমাদের পদ সৃজন করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দিচ্ছে। বার বার আশ্বাস দেয়া হলেও চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তর করা হচ্ছে না। 

আরও পড়ুন: নতুন শিক্ষাক্রম: মাধ্যমিকের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে সরকার ব্যয় করবে ৬০২ কোটি টাকা

তারা আরও জানান, আমাদের চাকরি স্থায়ীকরণের বিষয়ে অনেক আগে সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয়ের উদাসীনতায় সেটা আটকে গেছে। এই মুহূর্ত থেকে আমরা সকল কার্যক্রম বন্ধ করছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। আমাদের একটাই দাবি, অবিলম্বে চাকরি রাজস্বখাতে হস্তান্তর করতে হবে।

দাবি উল্লেখ করে সেসিপের কর্মকর্তারা জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন সেসিপ প্রোগ্রামে প্রায় ৩০ শতাংশ নারী। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসগুলোতে কর্মরত এসব কর্মকর্তা বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, কারিকুলাম বাস্তবায়ন, হাতে কলমে বিজ্ঞান শিক্ষা প্রসার, আইসিটিভিত্তিক শিক্ষার প্রসার, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও কার্যক্রম বিকেন্দ্রীকরণ, স্কুল মনিটরিং ও নিবিড় অ্যাকাডেমিক সুপারভিশন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ইএমআইএস সেল শক্তিশালীকরণ ও সফটওয়্যারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। 

এছাড়াও তারা নকল মুক্ত পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনে ট্যাগ অফিসার এবং জাতীয় নির্বাচনসহ সব পর্যায়ের নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন, বিজ্ঞান ও উন্নয়ন মেলা আয়োজন, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের বিভিন্ন ইভেন্ট পরিচালনা করেন।


সর্বশেষ সংবাদ