কলেজ শিক্ষক
ইটিআইএফ পূরণের নির্দেশ, থাকবে সার্ভিসের জন্য আলাদা পয়েন্টও
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২১, ০৪:৫৬ PM , আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২১, ০৫:৩৯ PM
উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের কলেজগুলোর প্রতিটি শিক্ষকের ইটিআইএফ (ইলেকট্রনিক টিচার ইনফরমেশন ফর্ম) পূরণের নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা।
রবিবার (২১ নভেম্বর) বোর্ডের ওয়েবসাইটে ‘উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠদানকারী শিক্ষকদের ইটিআইএফ পূরণ সংক্রান্ত’ এই নির্দেশনা জারি করা হয়। নোটিশে বোর্ড পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজ গোপনে করার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ কলেজের সব শিক্ষকদের এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে, প্রতিষ্ঠান প্রধানকে ইটিআইএফ পূরণের বিষয়টি নিশ্চিত করতেও বলেছে বোর্ড।
বোর্ড কড়া ভাষায় বলেছে, যদি কোন প্রতিষ্ঠান সব শিক্ষকের ইটিআইএফ পূরণে ব্যর্থ হয় তাহলে ওই কলেজের প্যানেল বন্ধ করে দেয়া হবে।
নির্দেশনায় বোর্ড আরও বলেছে, ‘প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ কর্মরত সকল শিক্ষকদের পরীক্ষা সংক্রান্ত গোপনীয় কাজ সম্পাদনের লক্ষ্যে ইটিএফ পূরণ নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে অনুরোধ করা হল। প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ কর্মরত সব শিক্ষকদের ইটিআইএফ পূরণে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্যানেল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
এদিকে বোর্ড জানিয়েছে, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে প্রধান পরীক্ষক হওয়ার জন্য অনেক শিক্ষক মাস্টার ট্রেইনার না হওয়া সত্ত্বেও ইটিআইএফের ডাটায় মাস্টার ট্রেইনারের কলাম এন্ট্রি করেছেন, যা গর্হিত অপরাধ। সুতরাং যারা প্রকৃত পক্ষে মাস্টার ট্রেইনার নন তারা অনতিবিলম্বে ইটিআইএফের ডাটা থেকে মাস্টার ট্রেইনার কলাম সংশোধন করুন, নতুবা এরূপ প্রতারণামূলক তথ্যের জন্য শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং প্রতিষ্ঠান প্রধান সত্যায়নকারী হওয়ায় তিনিও এর দায় এড়াতে পারবেন না। কারণ প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রতিটি শিক্ষকের তথ্য অনুমোদনকারী।
বোর্ড আরও জানায়, অনেক শিক্ষক তাদের ব্যক্তিগত রেজাল্ট নির্দিষ্ট কলামে এন্ট্রি না করে ফাঁকা রাখেন। অথচ, প্রধান পরীক্ষক ও পরীক্ষক হওয়ার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত রেজাল্টের সুনির্দিষ্ট পয়েন্ট রয়েছে। তাই শিক্ষকদের এসএসসি, এইচএসসি, বিএ, বিএসসি, অনার্স, মাস্টার্স, বিএড, এমএড, পিএইচডি ইত্যাদি পরীক্ষায় প্রাপ্ত বিভাগ বা শ্রেণি ইটিআইএফের নির্দিষ্ট কলামে এন্ট্রি করতে হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ইটিআইএফে যোগদানের তারিখের (First Joining) ক্ষেত্রে অনেকে বর্তমান কলেজে যোগদানের তারিখ দিয়ে থাকেন। এ কারণে তার শিক্ষকতার প্রকৃত অভিজ্ঞতার চিত্র পাওয়া যায় না। একজন শিক্ষক একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১০ বছর কর্মরত ছিলেন, পরবর্তীতে বর্তমান প্রতিষ্ঠানে ৫ বছর কর্মরত আছেন তাহলে তার অভিজ্ঞতা হবে ১৫ বছর। এ ক্ষেত্রে বর্তমান কলেজে যোগদানের তারিখ দিয়ে ডাটা এন্ট্রি করলে অভিজ্ঞতা ৫ বছর বিবেচনায় আসবে। সুতরাং তার যোগদানের তারিখ হবে ১ম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগদানের তারিখ। এতে প্রতিবছর শিক্ষকদের সার্ভিসের জন্য আলাদা পয়েন্টের ব্যবস্থাও থাকবে।
এছাড়া বোর্ড আরও জানিয়েছে, শিক্ষকদের ডাটা পূরণের সময় অবশ্যই সোনালী ব্যাংকের (১৩ ডিজিটের) হিসাব নম্বর প্রদান করতে হবে। খণ্ডকালীন, অনিয়মিত এবং অক্ষম ও গুরুতর অসুস্থ শিক্ষকদের তথ্য ইটিআইএফে পূরণ করা যাবে না। যে শিক্ষক যে বিষয়ে পাঠদান করেন শুধুমাত্র সে বিষয়ই সিলেক্ট করতে পারবেন, অন্যথায় অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। কলেজের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র যে বিষয়ে অনার্স, মাস্টার্স করেছেন সে বিষয়ই সিলেক্টট করতে পারবেন। শিক্ষকদের সব সনদ, নিয়োগপত্র ইত্যাদি তথ্য প্রমাণাদি প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে সংরক্ষণ করতে হবে; প্রয়োজনে বোর্ড সেগুলো তদন্ত করবে। কোন তথ্য গোপন বা অসত্য তথ্য সংযোজন করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।