দোকানপাট খোলা থাকলেও ক্রেতা কম রাজধানীর মার্কেটগুলোতে

রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায়
রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায়  © সংগৃহীত

ঢাকার নিউমার্কেট এলাকা সাধারণত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ক্রেতাদের ভিড়ে সরগরম থাকে। কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের ‘লকডাউন’ কর্মসূচিকে ঘিরে চিত্র ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। দোকানপাট খোলা থাকলেও ক্রেতার উপস্থিতি ছিল কম, অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে বিক্রেতাদের।

নিউমার্কেটের বিপরীত পাশের দিকে নুরজাহান মার্কেটের সামনের ফুটপাতে পোশাক বিক্রি করেন রুহুল আমিন। সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত বসে থেকেও একটি পণ্য বিক্রি করতে পারেননি তিনি। তিনি বলেন, গতকাল এ সময়ে তিন হাজার টাকার মতো বিক্রি করেছি, আজ এখন পর্যন্ত বেচাকেনা নেই। আমরা রাজনীতি করি না, কিন্তু ক্ষতিটা আমাদেরই হয়।

পাশের দোকানের বিক্রেতা আব্দুর রহিম জানান, অন্যরা দোকান খুলেছে, তাই আমিও খুলেছি। যদি কিছু ক্রেতা আসে এই আশায় বসে আছি।

নিউমার্কেট, প্রিয়াঙ্গন শপিং মল, চাঁদনী চক, নুরজাহান ও গাউসুল আজম সুপার মার্কেট—সব জায়গায় একই চিত্র। দোকান খোলা থাকলেও ক্রেতা হাতে গোনা। সড়কেও গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে কম, যদিও রিকশা চলাচল ছিল স্বাভাবিক।

ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর ও ফার্মগেট এলাকাতেও একই অবস্থা দেখা গেছে। ধানমন্ডির সীমান্ত স্কয়ার, অরচার্ড পয়েন্ট ও হ্যাপি অর্কিড শপিং মলে দোকানপাট খোলা থাকলেও ক্রেতা ছিলো খবুই কম। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকায় ধানমন্ডির আশপাশের খাবারের দোকানও বন্ধ রয়েছে।

মোহাম্মদপুরে বৃহস্পতিবার অধিকাংশ মার্কেটের সাপ্তাহিক বন্ধের দিন হওয়ায় বেশিরভাগ দোকান খোলা হয়নি।

এর আগে, আজকের কর্মদিবসে রাজধানীসহ দেশের সব দোকান ও বিপণিবিতান খোলা রাখার ঘোষণা দিয়েছিল দোকান ব্যবসায়ী মালিক সমিতিগুলো। বাংলাদেশ দোকান ব্যবসায়ী মালিক সমিতি ও ঢাকা মহানগর দোকান ব্যবসায়ী মালিক সমিতির যৌথ সভা শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ (বৃহস্পতিবার) সব দোকান খোলা থাকবে। বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ দোকান ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি মো. নাজমুল হাসান মাহমুদ ও ঢাকা মহানগর দোকান ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি মো. আরিফুর রহমান টিপু।


সর্বশেষ সংবাদ