টিসিবির কার্ডে মিলবে লবণ-সাবানসহ ৫ পণ্য
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:১৯ PM , আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:২৩ PM
আগামী নভেম্বর মাস থেকে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর তালিকায় যোগ হচ্ছে আরও ৫ পণ্য। তালিকায় যোগ হওয়া পণ্যগুলো হলো- চা, লবণ, ডিটারজেন্ট ও দুই ধরনের সাবান।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে টিসিবির উপকারভোগী নির্বাচন ও সক্রিয়করণ বিষয়ক এক সভায় একথা জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন,ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন,নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক,ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলাসমূহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, টিসিবির কার্যক্রম পরিচালনায় সরকার প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা ভর্তূকি দেয়। এতে বাজারের চাহিদা ও সরবরাহে সমতা তৈরি হয়। টিসিবির চলমান বিক্রয় কার্যক্রমের সাথে নতুন পাঁচটি পণ্য দরিদ্র মানুষকে আরেকটু স্বস্তি দিবে এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ভূমিকা রাখবে।
উপদেষ্টা বলেন, সরকার টিসিবির কার্যক্রম গতিশীল করতে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এক কোটি উপকারভোগী সঠিকভাবে নির্বাচন করতে দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হিসেবে আপনাদের উদ্যোগী হয়ে কাজ করতে হবে। দরিদ্র মানুষ যেন সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর বাইরে না থাকে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এটা করতে পারলে বাংলাদেশ একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে উঠবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রকৃত উপকারভোগীর কাছে টিসিবির স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড পৌঁছাবে, এটা আমার প্রত্যাশা। কার্ড দেয়ার ক্ষেত্রে তার পরিচয় হবে, দরিদ্র-অসহায় মানুষ, সরকারের সহযোগিতা তার প্রাপ্য।
এ সময় তিনি আগামী এক মাসের মধ্যে সিটি কর্পোরেশনসহ সারাদেশে উপকারভোগী নির্বাচন ও কার্ড সক্রিয়করণে দৃশ্যমান অগ্রগতি নিশ্চিত করার আহবান জানান।
সভায় বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, সঠিক উপকারভোগী নির্বাচনে সনাক্তকরণ মূল সমস্যা হিসেবে সামনে আসছে। পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রমে গতি কিছুটা কম। সমস্যা যেহেতু চিহ্নিত হয়েছে, আশা করি দ্রুতই কাজটি সম্পন্ন হবে।
সভায় টিসিবির স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডের সর্বশেষ তথ্য অবহিত করা হয়। এতে বলা হয় বর্তমানে মোট সক্রিয় কার্ডের সংখ্যা ৬০ লাখ ৩৪ হাজার ৩১৬। এছাড়া সক্রিয়করণের অপেক্ষায় আছে তিন লাখ ৩৯ হাজার ৪৫৪টি কার্ড।