চট্টগ্রাম বন্দরে ব্রাজিল থেকে আসা কনটেইনারে ‘তেজস্ক্রিয়তা’ শনাক্ত

প্রতীকি ছবি
প্রতীকি ছবি  © সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বন্দরে ব্রাজিল থেকে আসা একটি কনটেইনারে তেজস্ক্রিয়তা শনাক্ত হয়েছে। ওই কনটেইনারে স্ক্র্যাপ বা পুরোনো লোহার টুকরা ছিল। মেগাপোর্ট ইনিশিয়েটিভের রেডিয়েশন ডিটেকটিভ সিস্টেমে থোরিয়াম-২৩২, রেডিয়াম-২২৬ ও ইরিডিয়াম-১৯২ তেজস্ক্রিয় উপাদান পাওয়া গেছে। এ কারণে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কনটেইনারটির খালাস স্থগিত করেছে।

ব্রাজিল থেকে মোট পাঁচ কনটেইনারে ১৩৫ টন স্ক্র্যাপ আমদানি করেছিল ঢাকার আল আকসা স্টিল মিলস লিমিটেড। ৩ আগস্ট ‘এমভি মাউন্ট ক্যামেরন’ জাহাজ থেকে চট্টগ্রামের জিসিবি টার্মিনালের ৯ নম্বর জেটিতে কনটেইনারটি নামানো হয়।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ মারুফুর রহমান জানান, কনটেইনারটি ব্রাজিলের মানাউস শহর থেকে শুরু করে একাধিক বন্দরের মাধ্যমে সরবরাহ হয়েছে। ৩০ মার্চ মানাউস বন্দরে এমএসসির একটি জাহাজে তুলে ১৮ এপ্রিল পানামার ক্রিস্টোবালে, ৩ মে নেদারল্যান্ডসের রটারড্যামে, ১৫ জুলাই শ্রীলঙ্কার কলম্বো বন্দরে এবং শেষে ৩ আগস্ট চট্টগ্রামে এসেছে।

তিনি আরও বলেন, সতর্ক সংকেত পাওয়ার পর কনটেইনারটি আলাদা রাখা হয়েছে এবং পরমাণু শক্তি কমিশনকে অবহিত করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা সরেজমিন এসে তেজস্ক্রিয়তার পরীক্ষা করবেন।

প্রাথমিক পরীক্ষায় তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা এক মাইক্রোসিয়েভার্টস পাওয়া গেছে। তবে এটা উচ্চমাত্রার নয়। তেজস্ক্রিয় উৎস ব্যবহারে বিশেষ বায়ুরোধী পাত্র ব্যবহার করা হয় যাতে দূষণ না হয়। ব্যবহারের পর এসব উৎসকে তেজস্ক্রিয় বর্জ্য হিসেবে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে হয়।


সর্বশেষ সংবাদ