স্তব্ধ মজনু মাথা নিচু করে শুধুই কাঁপছিল

মাথা ছিল নিচু, কাঁপছিল শরীর। এক পর্যায়ে কাঠগড়ায় বসে পড়েন হাতকড়া পড়া অবস্থায়। বিচারক আসন নিলে তাকে উঠে দাঁড়াতে বলা হয়। তখন তিনি উঠে দাঁড়িয়ে বিচারকের দিকে মুখ ফেরান। বৃহস্পতিবার আদালতে তোলার পর মজনুকে এমনটাই দেখা যায়।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরাফুজ্জামান আনছারী ১০ দিনের পুলিশ আবেদনের শুনানি শেষে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা হাজির থাকলেও এ সময় ধর্ষণের আসামি মজনুর পক্ষে কোনো আইনজীবী দাঁড়াননি। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আসামিও কোনো কথা বলেননি। তাকে বিচারকও কিছু জিজ্ঞাসা করেননি।

শুনানি শুরুর ৫-৬ মিনিটের মধ্যেই শেষ হয়। ১০ দিনের হেফাজতের আবেদন শুনে বিচারক সাত দিন মঞ্জুর করে এজলাস থেকে নেমে যান। এর আগে দুপুরে ব্যাপক পুলিশের উপস্থিতে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মজনুকে কোর্ট হাজতে নিয়ে আসা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে পুলিশ হেফাজতের আবেদনের শুনানি শুরু হলে হতবিহ্বল চোখে মজনু বিচারকের দিকে তাকিয়ে থাকেন। তাকে কাঁপতে দেখা যায়। শুনানিতে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান কৌঁসুলি আবদুল্লাহ আবু বলেন, মামলাটি ‘অত্যন্ত স্পর্কাতর’, এর সুষ্ঠু তদন্তের জন্য মজনুকে রিমান্ডে নেওয়া দরকার। “সে একজন ‘হ্যাবিচুয়াল অফেন্ডার’। আরো তথ্য উদ্ঘাটনের জন্য এবং তার সঙ্গে আরো কেউ ছিল কিনা তা জানার জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।”

প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি রাজধানীর কুর্মিটোলায় ধর্ষণের শিকার হন ঢাবির দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী। এ ঘটনায় ৮ জানুয়ারি ভোরে মজনু নামে একজনকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। তারা জানায়, মজনু একজন সিরিয়াল রেপিস্ট।


সর্বশেষ সংবাদ