ঈশা খাঁ ঘাটি মসজিদে বোমা হামলা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

আদালত
আদালত  © ফাইল ছবি

চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাঁটির ভেতরে মসজিদে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৭ আগস্ট) চট্টগ্রামের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুল হালিম এই আদেশ দেন।

সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনোরঞ্জন দাশ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালত ৫ আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। তারা সবাই জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্য।

দণ্ডপ্রাপ্ত আমামিরা হলেন- এম সাখাওয়াত হোসেন, আবদুল মান্নান, রমজান আলী, বাবলু  রহমান ও আবদুল গাফফারের। এদের মধ্যে সাখাওয়াত পলাতক। বাকীরা কারাগারে রয়েছেন। মনোরঞ্জন দাশ বলেন, চলতি বছরের ২৩ মার্চ এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছিল। ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজকে আদালত এ রায় দিয়েছেন।

২০১৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঈশা খাঁ ঘাঁটির ভেতরে জুমার নামাজের সময় পতেঙ্গা মসজিদে মুসল্লিদের ওপর দুটি বোমা (গ্রেনেড) নিক্ষেপ করেন আবদুল মান্নান। মুসল্লিরা ছোটাছুটি শুরু করলে হামলাকারী মান্নান ভিড়ের সাথে মিশে যান। কিন্তু তার বাঁ হাতের কবজিতে ইলেকট্রিক সুইচ দেখে মুসল্লিরা তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। তখন আবদুল মান্নান আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটানোর চেষ্টা করে সফল হননি।

আরও পড়ুুন: নিউ জেএমবির আইটি প্রধান জাবি ছাত্র তানভীর, বিস্ফোরকসহ স্ত্রী আটক।

পতেঙ্গা মসজিদে হামলার ১০ মিনিট পর ঈশা খাঁ ঘাঁটির আরেকটি মসজিদে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ওই মসজিদে জুমার নামাজ শুরু হলে রমজান আলী মসজিদের মাঝবরাবর দুটি বোমা (গ্রেনেড) নিক্ষেপ করে মুসল্লিদের সাথে মিশে যান। পরে তাকেও ধরে ফেলা হয়। ওই দিন দুটি মসজিদে বোমা হামলায় নৌবাহিনীর কর্মকর্তাসহ ২৪ জন মুসল্লি আহত হন।

বোমা হামলার নয় মাস পর ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর নেভাল প্রভোস্ট মার্শাল কমান্ডার এম আবু সাঈদ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী ও বিস্ফোরক আইনে নগরীর ইপিজেড থানায় মামলা করেন। মামলায় নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য এম সাখাওয়াত হোসেন, বলকিপার আবদুল মান্নান ও রমজান আলী এবং বাবুল রহমান ওরফে রনিকে সেখানে আসামি করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ