চিকিৎসককে মারধর: ঢাবি ছাত্রদের শনাক্ত করার আহবান ঢামেক পরিচালকের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২২, ০৯:২০ AM , আপডেট: ১০ আগস্ট ২০২২, ০৯:২০ AM
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. এ কে এম সাজ্জাদ হোসেনকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছয়-সাতজন শিক্ষার্থীর মারধরে জড়িতদের শনাক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক। তিনি বলেছেন, ঘটনার ব্যাপারে পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে। সিসিটিভি পর্যবেক্ষণ করে তাদের শনাক্ত করতে হবে।
এ ঘটনায় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের প্রতিবাদলিপি পেয়েছেন বলেও জানান ঢামেক পরিচালক। ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ টিটো মিয়া বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের প্রতিবাদলিপি পাওয়া গেছে। ঘটনাটি জেনেছেন। বুধবার (১০ আগস্ট) বিষয়টি নিয়ে অফিসিয়ালি বসা হবে। মারধরে জড়িতদের আইন অনুযায়ী খুঁজে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. এ কে এম সাজ্জাদ হোসেনকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছয়-সাতজন শিক্ষার্থীর মারধরের বিচারের দাবি জানিয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
আরো পড়ুন: হাসপাতাল কক্ষ থেকে চিকিৎসকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) দুপুরে সংগঠনটির সভাপতি ডা. মো: মহিউদ্দিন জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক ডা. মারুফ উল আহসান শামীম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় ছাত্র কর্তৃক গত ৮ আগস্ট, ২০২২ রাত ৯টায় কেন্দ্রীয় শহীদ প্রাঙ্গণে বিনা উস্কানিতে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. মো: সাজ্জাদ হোসেনের উপর বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে এতে বলা হয়, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিসিটিভি ফুটেজ এর মাধ্যমে দোষীদের সনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে লাগাতার কর্মসূচি সহ পরবর্তীতে আরো কঠোর কর্মসূচি গ্রহণে ইন্টার্ন চিকিৎসা পরিষদ বাধ্য থাকবে।
এর আগে গতকাল রাত নয়টায় ভুক্তভোগী সাজ্জাদ শহীদ মিনারে বসে ছিলেন এমন সময় ছয় থেকে সাত জনের একটি দল তাঁর কাছে আসে যাদের ঢাবির লোগো সম্বলিত টি-শার্ট গায়ে ছিল। তারা আইডি কার্ড দেখতে চায় কিন্তু তিনি আইডি মেডিকেলে রেখে আসার কথা জানালে তাঁকে ব্যাপক মারধর শুরু করে। কানে থাপ্পর দেয়ায় কানের পর্দার আশেপাশে রক্তক্ষরণ হয়। ডান পাশের কানে কম শুনতে পাচ্ছেন ভুক্তভোগী সাজ্জাদ। নাকে আঘাত লাগার কারণেও প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।