জানা গেল অস্ত্রধারী চার ছাত্রলীগ কর্মীর নাম

সংঘর্ষের দিন কুরিয়ার কর্মী নাহিদকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়
সংঘর্ষের দিন কুরিয়ার কর্মী নাহিদকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়

নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের সময় নাহিদ হোসেনকে কুপিয়ে হত্যায় সরাসরি জড়িত দুজনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। দুজনই ঢাকা কলেজের ছাত্র এবং থাকেন উত্তর ছাত্রাবাসে। এর মধ্যে কাইয়ুমের নাম জানালেও অন্যজনের নাম বলেনি পুলিশ। তারা শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির এক নেতার কর্মী।

ভিডিও ফুটেজ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যের ভিত্তিতে ওই দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সূত্র গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে। এ ছাড়া ধারালো অস্ত্র হাতে থাকা আরও দুজন শনাক্ত হয়েছে। তাঁরাও ঢাকা কলেজের ছাত্র এবং ছাত্রলীগের কর্মী।

ডিবি সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, কুরিয়ার কর্মী নাহিদকে হেলমেটধারী একজন এবং হেলমেট ছাড়া অনেকে কুপিয়েছেন। এর মধ্যে একজনের ছবি গণমাধ্যমে এসেছে। তবে তাঁর পরিচয় পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে যে দুজনকে সন্দেহ করা হচ্ছে, তার মধ্যে একজন অস্ত্রধারী হতে পারেন বলে জানা গেছে।

দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, অস্ত্র ও হেলমেট পরে যারা অংশ নিয়েছেন, এর মধ্যে শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত আহ্বায়ক কমিটির চার নেতার অনুসারীরা সক্রিয় ছিলেন। তবে নাহিদ হত্যায় জড়িতরা বিলুপ্ত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জসীম উদ্দিন ও নতুন কমিটির পদপ্রত্যাশী ফিরোজ হোসেনের অনুসারী।

জসীম উদ্দিন এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, ভিডিওতে যাদের দেখা গেছে, তিনি তাঁদের চেনেন না। ঘটনার দিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল না। কাইয়ুমকে কলেজের ছাত্রাবাসে দেখেছেন। অন্য গ্রুপের রাজনীতি করেন তিনি। তবে কোন নেতার অনুসারী, তা নিশ্চিত নন বলে দাবি করেন।

আরো পড়ুন: নাহিদকে রামদা দিয়ে কুপিয়েছে ঢাকা কলেজের ছাত্র

এদিকে অস্ত্রধারীদের মধ্যে দুজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাঁদের একজন শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাহীন সাদেক মীর্জা। তিনি উত্তর ছাত্রাবাসের ২১৮ নম্বর কক্ষে থাকেন। অন্যজন কাউসার হামিদ ওরফে সাদা কাউসার। তিনি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতা বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে শাহীন সাদেক মীর্জা বলেন, ‘যে ছবি ছাপা হয়েছে, তা আমার হলে তো লুকানোর কিছু নেই।’ তবে একটু পরেই তিনি দাবি করেন, ওই ছবি তার নয়। এ ছাড়া কাউসার হামিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে ছাত্রলীগের সহসভাপতি সৈয়দ আরিফ হোসেন ওই গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের কাউকে ধারালো অস্ত্র হাতে সংঘর্ষে দেখা অত্যন্ত দুঃখজনক। সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডিবি পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক বলেন, ‘নাহিদ হত্যার ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। ভিডিওতে যাঁদের দেখা যাচ্ছে, এ নিয়ে একেকজন একেক তথ্য দিচ্ছেন। তা যাচাই-বাছাই করে জড়িতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।


সর্বশেষ সংবাদ