নিজ মেয়েকে গুমের দায়ে বাবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ১০:০১ PM , আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ১০:০১ PM
রংপুরের পীরগাছায় নিজ মেয়ে রাবেয়া বেগমকে অপহরণ ও গুম করার মামলায় বাবা লুৎফর রহমানকে (৮০) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। দীর্ঘ তদন্ত শেষে বাবা লুৎফর রহমানসহ ১০ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এর মধ্যে এক আসামি মৃত্যুবরণ করেছেন।
আজ বুধবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২- এর বিচারক মো. রোকনুজ্জামান এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: দু-বেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চান আলমগীর
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মকরমপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের মেয়ে রাবেয়া খাতুন একই এলাকার আব্দুর রশীদ নামের এক যুবককে ভালবেসে বিয়ে করেন। এ নিয়ে রাবেয়ার পরিবারের সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরোধ দেখা দেয়। একপর্যায়ে রাবেয়ার ভাশুর হোসেন আলী হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এ ঘটনায় রাবেয়ার বাবাসহ পরিবারের লোকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের হয়। এ মামলায় লুৎফর রহমানসহ অন্য আসামিরা নিম্ন আদালতে খালাস পান। কিন্তু এ হত্যাকাণ্ডের একমাত্র চাক্ষুষ সাক্ষী ছিলেন তাঁর মেয়ে রাবেয়া খাতুন।
ঘটনার পর থেকে বাবা লুৎফর রহমান তার মেয়ে রাবেয়া বেগমকে হত্যার পর লাশ গুম করার পরিকল্পনা করতে থাকেন। একপর্যায়ে ১৯৯৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাবেয়াকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য কৌশলে পীরগাছার চৌধুরানী বাজারে বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে যান লুৎফর রহমান ও তার সহযোগীরা। রাবেয়া তার বাবার মতলব বুঝতে পেরে চিৎকার শুরু করলে বাধ্য হয়ে লুৎফর রহমান মেয়ে রাবেয়াকে বাড়িতে ফেরিয়ে নিয়ে যান। এর পর থেকে রাবেয়া বেগমের কোনো সন্ধান না পাওয়ায় তার ছেলে রাঙ্গা মিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরবর্তীতে মায়ের কোনো সন্ধান না পেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন রাঙ্গা মিয়া।
আরও পড়ুন: মার্চ-এপ্রিলে কমবে সংক্রমণ, সর্দিই মূল কারণ: ড. বিজন
সরকারপক্ষের আইনজীবী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২-এর বিশেষ পিপি জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন বলেন, মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে আসামি লুৎফর রহমানকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন বিচারক। জরিমানার অর্থ রাবেয়ার সন্তানদের প্রদান করার আদেশ দেওয়া হয়।