খাদ্য অধিদপ্তরে চাকরির আশ্বাসে ঘুষ, ১১ বছর পর কর্মকর্তার দণ্ড
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২১, ০৮:৩০ PM , আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯:১২ PM
১১ বছর আগে খাদ্য অধিদপ্তরের সহকারি উপ খাদ্য পরিদর্শক পদে চাকরি প্রদানের আশ্বাসে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে ভূমি মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন প্রশাসনিক কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বখতিয়ারকে পাঁচ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার একজন বিশেষ জজ।
আরও পড়ুন: ‘শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দেয়া উচিত’
আজ মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী শরীফুল ইসলাম সাংবাদিকদের রায়ের তথ্য জানান।
২০১৪ সালে দায়ের করা এ মামলায় কারাদণ্ডের পাশাপাশি ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা আনোয়ারকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাগারে থাকতে হবে।
রায় ঘোষণাকালে আনোয়ার আদালতে হাজির ছিলেন। রায়ের পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: ‘সবাইকে কেনা যায় না, সেটা প্রমাণ করতে পেরেছি’
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১০ সালে খাদ্য অধিদপ্তরের সহকারী উপ খাদ্য পরিদর্শকের পদে চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আবেদন করেন।
লিখিত পরীক্ষায় তিনি কৃতকার্য হন। চাকরি পাওয়ার আশায় জাহাঙ্গীর তার মামাতো ভাই রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনের কার্যালয়ে পিএটু পরিচালক ওমর আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
আরও পড়ুন: ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করলো মার্কিন দূতাবাস
ওমর এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের ওই সময়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বখতিয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
তখন আনোয়ার জানান, সাত লাখ টাকা দিলে চাকরি হয়ে যাবে। কথা মোতাবেক জাহাঙ্গীর ২০১৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ওই কর্মকর্তাকে দুই দফায় সাত লাখ টাকা প্রদান করেন।
পরে চাকরি দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আনোয়ারকে টাকা পরিশোধের জন্য তাগিদ দেন জাহাঙ্গীর। ফেরত দিতে চেয়েও নানা টাল বাহানা করেও টাকা দেননি ওই প্রশাসনিক কর্মকর্তা।
এরপর আনোয়ার ২০১৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর সোনালী ব্যাংক করপোরেট শাখায় ওমর আলীর মাধ্যমে এক লাখ টাকা ফেরত দেন। অবশিষ্ট ছয় লাখ টাকা ২০১৫ সালের ২০ ডিসেম্বর নগদ পরিশোধ করার বিষয়ে তারা স্বীকার করেন।
এ ঘুষ লেনদেনের ঘটনায় দুদকের উপসহকারী পরিচালক নাজিম উদ্দিন ২০১৬ সালের ৪ আগস্ট মতিঝিল থানায় দুই জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
তিনি মামলাটি তদন্ত করে ২০১৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালত আনোয়ারকে সাজা দিলেও জাহাঙ্গীরকে খালাস দেন।