‘আব্বা গো তোর আল্লাহর দোহাই ছাড়ি দে’
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২০, ০৬:০৪ PM , আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২০, ০৬:১৮ PM
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ওই গৃহবধূ নিজেকে বাঁচানোর জন্য বার বার “বাবা গো আমাকে ছেড়ে দে। আব্বা গো তোর আল্লাহর দোহাই ছাড়ি দে!” বলে চিৎকার করছিলেন। কিন্তু নরপশুরা তার কথার কোনো পাত্তাই দেয়নি।
গত ২ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকার নূর ইসলাম মিয়ার বাড়িতে ওই গৃহবধূর বসতঘরে ঢুকে তার স্বামীকে পাশের কক্ষে বেঁধে রাখে স্থানীয় বাদল ও তার সহযোগীরা। পরে তারা ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় গৃহবধূ বাঁধা দিলে তারা বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে মোবাইলে ভিডিও চিত্র ধারণ করেন।
তাদের এই নির্যাতন থেকে বাঁচার জন্য বহু বার পায়ে ধরে বাবা ডাকলেও শেষ রক্ষা হয়নি এই নারীর। তারা খুব নরকীয়ভাবে এই নারীর যৌনাঙ্গ ও সমস্ত শরীরে নির্যাতন করে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, এক নারী সম্পূর্ণ বিবস্ত্র অবস্থায় গোঙাচ্ছে, কাঁদছে; সেই সঙ্গে বলছে। ‘বাবা গো আমাকে ছেড়ে দে। আব্বা গো তোর আল্লাহর দোহাই ছাড়ি দে!’
আশপাশের ২০-২৫ বছরের ছেলেগুলো হায়েনার মতো হাসছে আর বলছে। উল্টা, উল্টা, উল্টা! কারণ বিবস্ত্র ওই নারী নিজেকে বাঁচানোর জন্য উপুড় হয়ে শুয়ে কাঁদছিল আর বলছিল। এরে আব্বা গো, তোগো আল্লাহর দোহাইরে। ভিডিওটার পুরো সময়টায় ওই নারী গোঙাচ্ছিল, কাঁদছিল আর বলছিল। বাবা গো, ছাড়ি দে।
এ ঘটনার ৩৩ দিন পর ৯ জনকে আসামি করে রবিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন নির্যাতিতা গৃহবধূ (৩৫)।
উল্লেখ্য, মামলার পর প্রধান আসামিসহ মোট চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ও পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন, প্রধান আসামি বাদল ও দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার। বাদলকে ঢাকা থেকে ও দেলোয়ারকে অস্ত্রসহ নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এর আগে রোববার আব্দুর রহিম (২২) ও মো. রহমত উল্যাহ নামে আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।