শ্রেণীকক্ষ ও ছাত্রাবাস দখল করে বসবাসের অভিযোগ মাদ্রাসা সুপার ও তার নিকটাত্মীয়ের বিরুদ্ধে

মাদ্রাসা সুপার মাওলানা মোসলেহউদ্দিন
মাদ্রাসা সুপার মাওলানা মোসলেহউদ্দিন  © সংগৃহীত

ভোলার মনপুরা উপজেলার হাজিরহাট হোসাইনিয়া আলিম মাদ্রাসায় শ্রেণীকক্ষ ও ছাত্রাবাস দখল করে বসবাসের অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসার সুপার ও তার নিকটাত্মীয়ের বিরুদ্ধে। এতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক পাঠদান কার্যক্রম।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মোসলেহউদ্দিন নতুন নির্মিত ভবনের দুটি শ্রেণীকক্ষ দখল করে বসবাস করছেন। একই সঙ্গে তার শালা তানভীর মাদ্রাসার টিনশেড ছাত্রাবাস দখল করে পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন। ফলে শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় শ্রেণীকক্ষ ও আবাসন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী জানান, শ্রেণীকক্ষ সংকটের কারণে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া ছাত্রাবাস দখল থাকায় বাইরে থেকে আসা শিক্ষকরা থাকার জায়গা পাচ্ছেন না। সুপারের প্রভাবশালী অবস্থানের কারণে কেউ প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না।

স্থানীয়দের দাবি, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মোসলেহউদ্দিন উপজেলা ওলামালীগের সভাপতি পদ দখল করে নেন জেলা কমিটির মাধ্যমে। এরপর থেকেই তিনি এলাকায় প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন এবং সেই প্রভাব খাটিয়েই শ্রেণীকক্ষ ও ছাত্রাবাস দখলের ঘটনা ঘটেছে।

সরেজমিনে মাদ্রাসা পরিদর্শনে দেখা যায়, সুপারসহ চারজন শিক্ষক নতুন ভবনের দুটি কক্ষে বসবাস করছেন। অপরদিকে সুপারের শালা তানভীর পরিবারসহ ছাত্রাবাসে অবস্থান করছেন। অথচ শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে হচ্ছে টিনশেড ঘরে, যা শিক্ষার পরিবেশের জন্য চরমভাবে অস্বস্তিকর।

এ বিষয়ে মনপুরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি মো. নুরনবী ও উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি একরাম কবির বলেন, শ্রেণীকক্ষ ও ছাত্রাবাস দখল করে বসবাস করা শিক্ষা আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। অবিলম্বে দখলমুক্ত করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মোসলেহউদ্দিন বলেন, তিনজন শিক্ষক বাইরের হওয়ায় তাদের থাকার জন্য শ্রেণীকক্ষ ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে তার শালা তানভীরের ছাত্রাবাস দখল করে বসবাসের বিষয়ে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।

মনপুরা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, শ্রেণীকক্ষ ও ছাত্রাবাস দখল করে বসবাস করার কোনো আইনগত এখতিয়ার কারও নেই। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে মনপুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু মুছা জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!