মুনাফার লোভ দেখিয়ে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, মূলহোতা গ্রেপ্তার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:০৪ PM
বেশি মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রতারক চক্রের মূলহোতা এনজিও মালিক মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।বুধবার (১৯ নভেম্বর) ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
জসীম উদ্দিন বলেন, নওগাঁ সদর অফিসপাড়া এলাকায় নিবন্ধিত এনজিও ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ এ সঞ্চয়, মাসিক ডিপিএস, ঋণ গ্রহণ ও এককালীন আমানত হিসেবে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা করেন শত শত গ্রাহক। প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের মধ্যে মাসে ১ লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার লোভ দেখানো হতো। প্রথমদিকে মনোনীত কয়েকজন গ্রাহককে লভ্যাংশ পরিশোধ করায় সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে ব্যাপকভাবে প্রতিষ্ঠানটিতে বিনিয়োগে আগ্রহী হয়। এর মধ্যে অধিকাংশ বিনিয়োগকারীই ছিলেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
বাদীর অভিযোগ অনুযায়ী, তার নিজের প্রায় ২০ লাখসহ প্রায় ১৫০ কোটি টাকা গ্রাহকদের আমানত ছিল প্রতিষ্ঠানে। নিয়মিত জমা-উত্তোলনসহ আর্থিক লেনদেন চললেও ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে হঠাৎ অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। গ্রাহকরা আর তাদের সঞ্চিত অর্থ বা ঋণের টাকা উত্তোলন করতে পারছিলেন না। অভিযোগ জানালে পরিচালক তনু সময়ক্ষেপণের কৌশল নেন। সে অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎকরায়ে আজ দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।
গত বছরের নভেম্বর মাসে গ্রাহকরা প্রতিষ্ঠানটির অফিসে গিয়ে টাকা ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ কোনো অর্থ ফেরত না দিয়ে বরং জোরপূর্বক তাদের তাড়িয়ে দেয়। পরে বাদী নওগাঁ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই প্রতারণার জালে এখন পর্যন্ত ৮০০–র অধিক গ্রাহক পড়েছেন এবং মোট আত্মসাৎকৃত অর্থের পরিমাণ ৬০০ কোটি টাকারও বেশি হতে পারে।
মামলার তদন্ত বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত মূলহোতা নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অজ্ঞাত অন্যান্য সহযোগী, অর্থ লেনদেনের পূর্ণাঙ্গ তথ্য এবং প্রতারণার চক্রের সব সদস্য শনাক্তে তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।