প্রভাব খাটিয়ে ছেলেকে এইচএসসিতে জিপিএ-৫, শিক্ষাবোর্ডের সাবেক সচিব কারাগারে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২৫, ০৬:০৬ PM , আপডেট: ১৮ জুন ২০২৫, ০৯:১৬ PM
এইচএসসি পরীক্ষায় নিজ ছেলের ফলাফল জালিয়াতির ঘটনায় চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (১৭ জুন) চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।
জানা গেছে, হাইকোর্ট থেকে পাওয়া চার সপ্তাহের আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হলে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন নারায়ণ চন্দ্র নাথ। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন আবেদন খারিজ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
চট্টগ্রাম কোর্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর মো. শাহীন বলেন, জাল-জালিয়াতি মামলায় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আসামি নারায়ণ চন্দ্র নাথকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, গত ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছিল ২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর। মামলায় অভিযোগ বলা হয়েছে, ফলাফল প্রকাশের আগে যে কোনোসময় আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জালিয়াতি করে নক্ষত্র দেবনাথের ফলাফল পরিবর্তন করেন। নক্ষত্র ছাড়া বাকি তিনজন জালিয়াতি সংঘটনের সময় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে স্ব স্ব পদে দায়িত্বরত ছিলেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি আইনের ৪২০, ৪৬৫, ৪৬৬, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ৩৪ ধারার অপরাধ উল্লেখ করা হয়েছে।
নারায়ণ চন্দ্র নাথের ছেলে নক্ষত্র দেবনাথ চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ থেকে ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। ওই বছরের ২৬ নভেম্বর প্রকাশিত ফলাফলে বাংলা বিষয় ছাড়া সব বিষয়ে জিপিএ-৫ পান নক্ষত্র। তবে বাংলায় এ পেলেও অতিরিক্ত বিষয়ের পয়েন্ট যুক্ত হওয়ায় সামগ্রিক ফলাফলে তিনি জিপিএ-৫ পান।
বাংলা বিষয়ে পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করতে গিয়ে নক্ষত্রের পরিবারের লোকজন দেখেন আগে থেকে অনলাইনে পুনঃনিরীক্ষণের জন্য কে বা কারা আবেদন করে দিয়েছেন। তাও শুধু একটি বিষয়ে নয়, ১২টি উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করা হয়। বিষয়টি নিয়ে নারায়ণ চন্দ্র নাথের স্ত্রী বনশ্রী নাথ ২০২৩ সালের ৪ ডিসেম্বর নগরের পাঁচলাইশ থানায় জিডি করেন। এর ফলে বিতর্ক আরও জোরালো হয়।