মেয়ের জামাইয়ের হাতে খুন শাশুড়ি ও দুই শ্যালক

পিবিআই মেয়ের জামাই রবিনকে গ্রেফতার করে
পিবিআই মেয়ের জামাই রবিনকে গ্রেফতার করে  © টিডিসি ফটো

ডেকোরেটরের ব্যবসা বিক্রিসহ পারিবারিক বিরোধের জেরে ধামরাইয়ে খুন হন একই পরিবারের ৩ জন। আত্মহত্যা সন্ধেহে ইউডি মামলা চলমান থাকা অবস্থায় পিবিআই ঢাকা জেলা ছায়া তদন্ত অব্যাহত রেখে প্রমান পেয়েছে যে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। বাদীকে দিয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করানো হয়।

বুধবার (৪ জুন) ঢাকার ধামরাই উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের রক্ষিত গ্রামে সংঘটিত নৃশংস ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় পিবিআই ঢাকা জেলা ভিকটিমের মেয়ের জামাই রবিনকে গ্রেফতার করে। 

ঘটনার সূত্রপাত ১ জুন ২০২৫ রাতে, যখন নার্গিস বেগম তার দুই সন্তানকে নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। পরদিন ২ জুন দুপুরে স্থানীয়রা তাদের তিনজনের মরদেহ খাটের ওপর কাঁথা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় উদ্ধার করেন। প্রাথমিকভাবে বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর সন্দেহে ধামরাই থানায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়।

আরও পড়ুন: ১০ মাসে ছাত্রলীগের ১৬ হামলা, আক্রান্ত ১৪টি ঘটনায়

তবে, পিবিআই ঢাকা জেলা ছায়া তদন্ত শুরু করলে দ্রুতই উঠে আসে বিভ্রান্তিমূলক তথ্যের অসঙ্গতি। ভিকটিমের মেয়ে ও আসামির স্ত্রী নাসরিন এবং রবিনের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের পর গোয়েন্দা প্রযুক্তির সহায়তায় পাওয়া তথ্যের সঙ্গে মিল না পাওয়ায় রবিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে রবিন স্বীকার করেন, তিনিই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছেন।

পিবিআই-এর তদন্তে জানা যায়, পারিবারিক বিরোধ এবং ডেকোরেটর ব্যবসা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ক্ষোভ থেকেই রবিন এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেন। ১ জুন দিবাগত রাত ১১:৩০ থেকে ২ জুন ভোর ৪টার মধ্যে তিনি প্রথমে বড় শ্যালক শামীম, পরে শাশুড়ি নার্গিস এবং সর্বশেষ ছোট শ্যালক সোলাইমানকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করেন। পরে তিনজনের মরদেহ একসঙ্গে বিছানায় কাঁথা দিয়ে ঢেকে রেখে তিনি নিজ বাড়িতে ফিরে যান।

পরদিন সকালে রবিনের স্ত্রী নাসরিন তার মায়ের বাড়িতে গিয়ে লাশগুলো দেখতে পান এবং স্থানীয়দের খবর দেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত নার্গিসের বড় ভাই মো. আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে ৪ জুন ধামরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর-০৫, ধারা ৩০২/৩৪ দণ্ডবিধি)। মামলাটি পিবিআই-এর সিডিউলভুক্ত হওয়ায় তদন্তের দায়িত্ব নেয় পিবিআই ঢাকা জেলা।

পিবিআই নিশ্চিত করেছে, গ্রেপ্তারকৃত রবিন জিজ্ঞাসাবাদে হত্যায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। মামলার তদন্ত এখনো চলমান রয়েছে।

 


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!