ছাত্রদের আন্দোলনে হামলা হলে ‘দাত ভাঙা’ জবাব: ভিপি নুর
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০১৯, ০৭:১০ PM , আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৯, ১১:৪৩ PM
বাসচাপায় সহপাঠীর মৃত্যুর পর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে গিয়ে আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর। বিক্ষুব্ধ বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, এই আন্দোলনে আঘাত করা হলে ‘দাত ভাঙা’ জবাব দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে সেখানে যান ভিপি নুর। তার সঙ্গে ছিলেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা রাশেদ খান। আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে ভিপি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজ একাত্মতা প্রকাশ করেছে। এর আগে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, কোটা আন্দোলনে রক্তক্ষয়ী হামলা চালানো হয়। ছাত্রসমাজকে সচেতন থাকতে হবে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন বানচালে বিভিন্ন মহল ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আঘাত করা হলে ছাত্রসমাজ দাতভাঙা জবাব দেবে।
এদিকে, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রোফেশনাল (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরী বাসচাপায় নিহতের ঘটনায় আট দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বুধবার সারাদেশে ক্লাস বর্জন ও সড়ক অবরোধের আহবান জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের সড়ক অবরোধ শেষে পরবর্তী কর্মসূচির কথা জানিয়েছেন তারা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থরা জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আমাদের সড়ক অবরোধ কর্মসূচি চলে। বুধবার আবার আমাদের আন্দোলন চলবে। আগামীকাল সকাল ৮টা থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন করার আহবান জানাচ্ছি। আপনাদের নিজনিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাস বর্জন করে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নেবেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মায়েশা নূর বলেন, আমাদের এই আন্দোলন গতবছরের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ধারাবাহিকতা। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। আমাদের এই আন্দোলনে গতবছরের মতো কোনও হামলা ও রক্তাক্ত চেহারা দেখতে চাই না। আমরা পুলিশ বাহিনীর কাছ থেকে নিরাপত্তা চাই। আমাদের আন্দোলনের সময় আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে মায়েশা নূর বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে আটদফা দাবি দিয়েছি। এটা গণমাধ্যমে চলে এসেছে। আমাদের এই আন্দোলন কোনও রাজনৈতিক আন্দোলন না। আমাদের এই আন্দোলনে রাজনৈতিক কোনও দল বা ব্যক্তিকে গ্রহণ করবো না। সবাই নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র নিয়ে আন্দোলনে যোগ দেবেন। আমরা আমাদের অভিভাবকদের এই আন্দোলনে অংশ নেওয়ার জন্য আবেদন করছি।’
আট দফা দাবির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, চালকের সর্বোচ্চ শাস্তি–এ কথা উল্লেখ করে মায়েশা নূর বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ শাস্তি বলতে বাসচালকের ফাঁসি চেয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘গতবার শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে জাবালে নূরের রোড পারমিট বাতিল করা হয়েছিল বলে আমাদের জানানো হয়েছিল। কিন্তু জাবালে নূর এখনও রাস্তায় চলছে। আমরা জাবালে নূর ও সুপ্রভাত বাস রাস্তায় দেখতে চাই না।’