যমুনা ও আশপাশের এলাকায় বিজিবি মোতায়েন

দুই প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন
দুই প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন  © টিডিসি ফটো

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ছাত্র-জনতা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার পর থেকে যমুনার সামনে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। 

এদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে যমুনা ও এর আশপাশের এলাকায় দুই প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৯ মে) সকাল ৭টা থেকে এমন চিত্র দেখা গেছে। 

এর আগে এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী ছাত্রশিবির, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইনকিলাব মঞ্চ, আপ বাংলাদেশ, অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট কোয়ালিশন, জুলাই ঐক্যসহ একাধিক সংগঠন। তাদের হাতে ছিল ব্যানার, প্ল্যাকার্ড এবং গলায় ছিল নানা স্লোগান। পুরো এলাকা ‘ব্যান আওয়ামী লীগ’ স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে।

আরো পড়ুন: সব পথ মিলল যমুনার সামনে

বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর নেতৃত্বে প্রথম সারির নেতাকর্মীরা যমুনার সামনে অবস্থান নেন। এ সময় তারা ‘ব্যান করো ব্যান করো, আওয়ামী লীগ ব্যান করো’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘গোলামি না আজাদী, আজাদী আজাদী’, ‘একটা একটা ছাত্রলীগ ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’, ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’সহ নানা স্লোগানে রাজপথ মুখর করে তোলে।

সরেজমিনে দেখা যায়, রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যমুনার সামনের সড়কে অবস্থানকারী মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকে। রাত ১টার দিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে আরও একটি বড় মিছিল এসে যমুনার সামনের অবস্থানে যোগ দেয়। এতে প্রায় কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ সদস্যদের তৎপরতা লক্ষ্য করা গেলেও সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে দেখা যায়নি।

অবস্থানের কারণে রমনা এলাকার ওই অংশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আশপাশের রাস্তায় দেখা দেয় তীব্র যানজট।

নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, এই কর্মসূচির মাধ্যমে তাঁরা আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের ‘গণবিরোধী কর্মকাণ্ডের’ বিচার এবং দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে সোচ্চার হচ্ছেন। তাঁরা বলেন, “আমাদের ভাইয়েরা গুম হয়ে গেছে, খুন হয়েছে। অথচ দায়ীদের বিচার হয়নি। এখন সময় এসেছে রাজপথেই নিষ্পত্তির।


সর্বশেষ সংবাদ