সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে মাগুরা নেওয়া হবে সেই শিশুটির মরদেহ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৫:০৪ PM , আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৫:১২ PM

রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা ৮ বছরের শিশুটির মরদেহ সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে গ্রামের বাড়ি মাগুরায় নেওয়া হবে। আজ বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, রাজধানীর সিএমএইচ থেকে শিশুটির মরদেহ কিছুক্ষণের মধ্যে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে নেওয়া হবে। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে মাগুরায় নেওয়া হবে। এর আগে আজ দুপুরে মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার ৮ বছর বয়সী শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। রাজধানীর সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়।
আইএসপিআর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃদস্পন্দন ফিরে আসেনি। গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু মারা গেছে
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।
গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার বোনের শাশুড়ি। সেদিন রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপর শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। একদিন পর শনিবার সন্ধ্যায় সংকটাপন্ন শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিআইসিইউ থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়। এদিকে বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া আট বছরের এই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন শিশুটির মা। ইতোমধ্যে শিশুটির ভগ্নিপতি, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাসুরকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।