অপহরণের ১৪ দিন পর শিক্ষার্থীর খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ AM , আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ AM
চট্টগ্রামের রাউজান থেকে অপহৃত হওয়ার ১৪ দিন পর কলেজছাত্র শিবলী সাদিক হৃদয়ের (১৯) খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার সকালে রাউজানের কদলপুর-রাঙ্গুনিয়া সীমান্তবর্তী দুর্গম পাহাড়ি এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে হৃদয়ের শরীরের খণ্ডিত অংশগুলো উদ্ধার করা হয়।
এর আগে রোববার রাতে নগরীর চান্দগাঁও এলাকা থেকে উমংচিং মারমা, আছুমং মারমা ও উক্যথোয়াই মারমা নামে তিন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ওই রাতেই জিজ্ঞাসাবাদের পর হৃদয়কে হত্যার কথা স্বীকার করে উমংচিং মারমা। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মরদেহের খণ্ডিত অংশগুলো উদ্ধার করা হয়।
এদিকে হৃদয়ের দেহাবশেষ উদ্ধারের পর ফেরার পথে পুলিশের গাড়ি অবরোধ করে কদলপুরের পঞ্চপাড়া এলাকায় কয়েক হাজার গ্রামবাসী। তারা হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত উমংচিং মারমাকে তাদের হাতে তুলে দিতে বলে। অস্বীকৃতি জানালে, উত্তেজিত জনতা পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং গাড়ি ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে তারা পুলিশের গাড়ি থেকে আসামি উমংচিংকে ছিনিয়ে নিয়ে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নিহত হৃদয়ের পরিবার জানায়, হৃদয় পড়াশোনার পাশাপাশি কদলপুরে একটি মুরগির খামারে চাকরি করতেন। তিনি কদলপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ২৮ আগস্ট হৃদয়কে অপহরণ করে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারিরা। পরে ২ লাখ টাকা দিলেও হৃদয়কে ছেড়ে দেয়নি তারা। সোমবার কাউখালীর দুর্গম বালু পাহাড়ে তার খন্ডিত মরদেহ পাওয়া যায়।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, অপহরণের ঘটনায় রোববার রাতে আসামি উমংচিং মারমাকে নগরীর সিঅ্যান্ডবি এলাকা থেকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, অপহৃত শিক্ষার্থীকে হত্যার পর মরদেহ মাটিচাপা দিয়েছে তারা। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সোমবার সকালে কদলপুর-রাঙ্গুনিয়া সীমান্তবর্তী কাউখালীর পাহাড় থেকে হৃদয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ওসি আরও বলেন, লাশ উদ্ধার করে ফেরার পথে কয়েক হাজার গ্রামবাসী আমাদের পথরোধ করেন। উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়ি থেকে আসামি উমংচিং মারমাকে ছিনিয়ে নিয়ে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।