শিক্ষককে লাঞ্ছিতের ঘটনায় আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন
- রাজশাহী প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৬:৫৭ PM , আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৬:৫৭ PM
রাজশাহী পুঠিয়া উপজেলার সৈয়দ করম আলী শাহ্ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে মারধর ও অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনায় রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আব্দুস সামাদ মোল্লার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন একই বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বুধবার (০৮ফেব্রুয়ারি) এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
এর আগে গত ৬ফেব্রুয়ারি রাজশাহী পুঠিয়া উপজেলার সৈয়দ করম আলী শাহ্ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: কোরবান আলীকে অবরুদ্ধ করে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আব্দুস সামাদ মোল্লা। তখন তিনি ঐ অবস্থায় থেকে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে তাকে উদ্ধার করে পুঠিয়া থানা পুলিশ।
সৈয়দ করম আলী শাহ্ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ কোরবান আলীর অভিযোগ, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডঃ আব্দুস সামাদ মোল্লা তাকে অবরুদ্ধ করে মারধর ও লাঞ্ছিত করেছেন। তিনি এ অভিযোগে পুঠিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছেন।
ঘটনার দিন গত ৬ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) সকালে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সামাদ মোল্লা ১০-১৫ জন যুবককে নিয়ে ওই বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন। তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা চলাকালে আব্দুস সামাদ মোল্লা আলোচনার এক পর্যায়ে পকেট থেকে একটি কাগজ বের করে প্রধান শিক্ষক কোরবান আলীকে সাক্ষর করতে বলেন। প্রধান শিক্ষক তাতে সাক্ষর না করায় আব্দুস সামাদ মোল্লা তার জামার কলার ধরে টানাটানি করেন।
এ দিন মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মো. কোরবান আলী বলেন, সৈয়দ করম আলী শাহ্ উচ্চবিদ্যালয়ে করোনা-কালীন সময়ে একটি এডহক কমিটি করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন থেকে সেই কমিটি বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। আমরা পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। কিন্তু গত(৬ ফেব্রুয়ারি) হটাৎ করে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আব্দুস সামাদ মোল্লাসহ স্থানীয় ১০ থেকে ১৫ জন ব্যক্তি আমার কাছে এসে একটি লিখিত কাগজে সাক্ষর করতে বলে।
তিনি বলেন, আমি ওই কাগজে সাক্ষর করতে অপারগতা প্রকাশ করলে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আব্দুস সামাদ মোল্লা আমার কলার ধরে টানাটানি করে এবং আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। পরে আমাকে মারার জন্য তেড়ে আসলে আমি বিদ্যালয়ের টয়লেটে আশ্রয় নেই। সেখান থেকে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুঠিয়া থানা পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনার বিচার দাবি করে তিনি বলেন, আমার মত আর কোন শিক্ষককে যেন আর কেউ লাঞ্ছিত করতে না পারে সেজন্য আমি রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সামাদ মোল্লার দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আমরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করার জন্য পুঠিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে আসার সময় রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সামাদ মোল্লার লোকজন আমাদের রাস্তা রোধ করে পরে আমরা প্রশাসনের সহায়তায় পুঠিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে আসতে পেরেছি বলেও জানান তিনি।