ফাঁস করা প্রশ্ন কয়েকটি কোচিং সেন্টারেও সরবরাহ করা হত
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:১০ AM , আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:১০ AM
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে এর আগেও এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। ফাসঁ করা প্রশ্নগুলো নেহাল উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের আশপাশের কোচিং সেন্টারেও দেওয়া হত বলে জানা গেছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মূলত বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে কোচিং ব্যবসা জমিয়ে তুলতেই প্রশ্নপত্র ফাঁস করতেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমান। এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরও কোচিং করানো হত। অতিরিক্ত ক্লাসের নামে শিক্ষার্থীদের স্কুলে কোচিং করতে বাধ্য করতেন কোচিং-সংশ্নিষ্ট শিক্ষকরা। এ জন্য অতিরিক্ত টাকা দিতে হতো শিক্ষার্থীদের। সেই টাকার ১০ শতাংশ পেতেন প্রধান শিক্ষক লুৎফর। স্কুলের ভেতর পরিচালিত দুটি কোচিংয়ের সমন্বয় করতেন শিক্ষক জোবায়ের।
ওই সূত্র আরও জানায়, কোচিং সেন্টারে শিক্ষার্থী টানার জন্য লুৎফর রহমান ও তাঁর সহযোগীরা এর আগেও প্রশ্ন ফাঁসের কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন। প্রশ্ন ফাঁস করে টাকা আয় ছাড়াও অন্য স্কুলের চেয়ে ভালো ফল করাও ছিল তাঁর লক্ষ্য। প্রশ্নপত্রের মোড়ক বদল হওয়ায় পুরো প্যাকেট নিতে গিয়ে এবার বিষয়টি ধরা পড়ে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়টির এক শিক্ষক গণমাধ্যমকে জানান, কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমান বাংলা প্রথম পত্র ও ইংরেজি প্রথম পত্র পরীক্ষার দিন গোপনে ছয়টি বিষয়ের প্রশ্নের প্যাকেট নেন। তাঁর কোচিংয়ের শিক্ষক জোবায়ের, সোহেল, হামিদুল ও রাসেলকে দিয়ে হাতে লিখে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন এলাকায় টাকার বিনিময়ে হাতে লেখা প্রশ্ন সরবরাহ করেন। আশপাশের কোচিং সেন্টারেও তাঁরা ওই প্রশ্ন বিক্রি করেন।
এদিকে প্রশ্নফাঁসের ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শামসুল আলম। তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরেই প্রশ্নফাঁস করছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া তারা কোচিং বাণিজ্যের সাথেও জড়িত রয়েছেন। এই প্রশ্নপত্র তারা বিভিন্ন কোচিং সেন্টারেও সরবরাহ করতেন। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে ভালো ফল করানো এবং কোচিংয়ে শিক্ষার্থী টানা।