বাসে হঠাৎ আগুন, অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন ঢাবির ৪৬ শিক্ষার্থী
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:০৫ AM , আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:০৫ AM
সিলেটে আগুনে পুরোপুরি পুড়ে যাওয়া বাসটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬ জন শিক্ষার্থী ছিলেন। বিআরটিসির বাসটি পুড়ে গেলেও অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন চালক-হেলপারসহ শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে সিলেট-এয়ারপোর্ট সড়কের মালনীছড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ধর্মঘট চলাকালে সকালে ৯৭ জন শিক্ষার্থী বিআরটিসির দুটি বাসে বিছানাকান্দি ঘুরতে যান। সন্ধ্যায় ফেরার পথে ৪৬ জনকে বহনকারী একটি বাস সালুটিকর এলাকায় পৌঁছালে শ্রমিকরা ধাওয়া করেন। এ সময় বাসে ঢিল ছোড়া হয়। এতে গ্লাস ভেঙে আহত হন দুই শিক্ষার্থী। তাৎক্ষণিক নাম জানা যায়নি তাদের।
পরিবহন শ্রমিকরা গাড়ির পেছনে ঢিল ছোড়া শুরু করলে ভয়ে চালক দ্রুতগতিতে গাড়ি চালিয়েআসেন। ঘটনাস্থলে আসলে হেডলাইট বন্ধ হয়ে যায়। তাৎক্ষণিক হেলপার নেমে দেখেন ধোঁয়া বের হচ্ছে। চালক ও শিক্ষার্থীরা নামতেই বাসে আগুন ধরে যায়। তখন শিক্ষার্থীরা পানি দিয়ে আগুন নেভানোর ব্যর্থ চেষ্টা করেন।
খবর পেয়ে এসএমপির এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ সময় বাসের শিক্ষার্থীরা ঢিল ছোড়ার ও দুই শিক্ষার্থী আহত হওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বিকল্প ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের হোটেল গ্র্যান্ড মোস্তফায় পৌঁছে দেয় পুলিশ।
আরো পড়ুন: সিলেটের পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত
এসএমপির এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ মঈনুল জাকির বলেন, বিছানাকান্দি থেকে ফেরার পথে একটি বাসে ঢিল ছোড়া হলে দুই শিক্ষার্থী আহত হন। চালক বাসটি নিয়ে সিলেট ক্যাডেট কলেজে অবস্থান করেন। সেখান থেকে শহরে আসার পথে মালনীছড়ায় হেডলাইট বন্ধ হয়ে যায়। গাড়ি বন্ধ করে ত্রুটি খুঁজতে গিয়ে হেলপার ধোঁয়া দেখতে পান। চালকসহ শিক্ষার্থীরা নেমে পড়লে আগুন ধরে যায়।ওভার হিটের কারণে আগুন ধরে যায় বাসটিতে।
ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. বেলাল হোসেন বলেন, তাৎক্ষণিক আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এর কারণ অনুসন্ধান করছেন তারা।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিনভর পাঁচ দফা দাবিতে সিলেটে পরিবহন ধর্মঘট পালিত হয়েছে। এ সময় শ্রমিকরা লাঠিসোটা নিয়ে সড়কে অবস্থান নেন। সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল প্রতিহত করেন। ফলে সাধারণ মানুষ ও যাত্রীরা হয়রানির শিকার হন। রাতে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়।