গোপালগঞ্জে তিন আসনে ২৩ প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ, নির্বাচনী মাঠ সরগরম

জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করছেন বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা
জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করছেন বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা  © টিডিসি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গোপালগঞ্জ জেলার তিনটি সংসদীয় আসনে নির্বাচনী তৎপরতা বাড়তে শুরু করেছে। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং স্বতন্ত্র মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ২৩ প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গোপালগঞ্জ-১ আসন থেকে ৬ জন, গোপালগঞ্জ-২ আসন থেকে সর্বোচ্চ ১১ জন ও গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে ৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। মনোনয়ন ফরম সংগ্রহকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কার্যালয়গুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশ লক্ষ করা গেছে।

মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে গোপালগঞ্জ-২ (সদর ও কাশিয়ানীর একাংশ) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ডা. কে এম বাবর দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রফিকুজ্জামান, সদস্যসচিব কাজী আবুল খায়েরসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী।

এদিন গোপালগঞ্জ-১ (মুকসুদপুর ও কাশিয়ানীর একাংশ) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিমের পক্ষে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রফিকুজ্জামান মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। এ ছাড়া গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গীপাড়া ও কোটালীপাড়া) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এস এম জিলানীর পক্ষে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব কাজী আবুল খায়ের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।

জানা গেছে, গোপালগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়ন সংগ্রহকারীদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির সেলিমুজ্জামান সেলিম, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রলয় কুমার পাল এবং চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থী।

গোপালগঞ্জ-২ আসনে মনোনয়ন সংগ্রহকারীদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির ডা. কে এম বাবর, জামায়াতে ইসলামীর আজমল হোসেন সরদার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের তসলিম হুসাইন সিকদার, গণফোরামের শাহ মফিজ ও সাতজন স্বতন্ত্র প্রার্থী।

অন্যদিকে গোপালগঞ্জ-৩ আসনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বিএনপির এস এম জিলানী, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির এম এম রেজাউল ইসলাম, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আরিফুল দাড়িঁয়া, গণঅধিকার পরিষদের আবুল বাশার দাড়িঁয়া এবং দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, মনোনয়ন দাখিল ও যাচাই-বাছাই পর্ব শেষ হলে গোপালগঞ্জে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা আরও জোরদার হবে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা জমে উঠবে।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!