কুড়িগ্রামে এক বছরে গ্রাম আদালতে ২৩৩৫ মামলার নিষ্পত্তি

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভা
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভা  © টিডিসি

কুড়িগ্রামে গ্রাম আদালতে বিচারপ্রার্থীদের মামলা নিষ্পত্তির হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত এক বছরে ২ হাজার ৫১৫টি মামলার মধ্যে ২ হাজার ৩২০টি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে বলে এভিসিবি-৩ প্রকল্পের জেলা ব্যবস্থাপক দৌলতুন নেছা নিশ্চিত করেছেন। পাশাপাশি গ্রাম আদালতের মাধ্যমে বিচারপ্রার্থীরা ১ কোটি ৫১ লাখ ৬২ হাজার ৩২০ টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ পেয়েছেন বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন আয়োজিত জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘জেলা পর্যায়ে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের বার্ষিক অগ্রগতি পর্যালোচনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য উপস্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিখ) কুদরত-এ-খুদা, এভিসিবি-৩ প্রকল্পের জেলা ব্যবস্থাপক দৌলতুন নেছা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুক্তারুজ্জামান, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মাহফুজুর রহমানসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যানরা।

এভিসিবি-৩ প্রকল্পের জেলা ব্যবস্থাপক দৌলতুন নেছা জানান, গ্রাম আদালতে মামলা সম্পদনে গতিশীলতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২৫ সালে জুন মাস পর্যন্ত কুড়িগ্রাম জেলার ৯টি উপজেলার ৭৩টি ইউনিয়ন পরিষদের অবস্থিত গ্রাম আদালতে সুবিধাবঞ্চিত ২হাজার ৫১৫টি আবেদন জমা পরে। সে প্রেক্ষিতে ২হাজর ৩৩৫টি মামলা নিষ্পত্তি হয় গ্রাম আদালত কর্তৃক সম্পাদন করা হয়েছে। এতে ১ কোটি ৫১লাখ ৬২হাজার ৩২০টাকা আইনানুগভাবে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই মামলাগুলো গ্রাম আদালতের এখতিয়ারভুক্ত দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা ছিল।

জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ বলেন, গ্রাম আদালতের বিচার প্রক্রিয়ায় ইউনিয়নের সব নাগরিককে সমান দৃষ্টিতে দেখতে হবে এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। একটি ইউনিয়নের ভাল মন্দ দেখার দায়িত্ব ইউপি চেয়ারম্যানদের। এ বিষয়ে তাদেরকে আরও আন্তরিক হতে হবে। 

বিশেষ করে সীমানা সংক্রান্ত পারিপার্শ্বিক দ্বন্ধ নিরসনে গুরুত্ব দিয়ে নিষ্পত্তি করতে হবে। পরিষদের এজলাসগুলো সংষ্কার করতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ