দাফনের আড়াই মাস পর শিশুর লাশ উত্তোলন

আদালতের নির্দেশে রানা (৭) নামে এক শিশুর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে
আদালতের নির্দেশে রানা (৭) নামে এক শিশুর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে  © টিডিসি

নেত্রকোনার পূর্বধলায় হত্যা মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতের নির্দেশে দাফনের প্রায় আড়াই মাস পর রানা (৭) নামে এক শিশুর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার গোয়ালাকান্দা ইউনিয়নের কান্দুলিয়া গ্রামে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করা হয়।

পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ জুন কান্দুলিয়া গ্রামে একটি ফিশারিতে পড়ে রানার মৃত্যু হয়। কোনো সন্দেহ না থাকায় লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছিল।

তবে পরবর্তীতে শিশুর বাবা প্রতিবেশী শহিদ মিয়াকে আসামি করে ২৩ জুলাই নেত্রকোনা আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
 
অভিযোগে বলা হয়, ঘটনার দিন শহিদ মিয়া রানাকে দোকান থেকে সিগারেট আনতে পাঠান। কানে কম শোনার কারণে রানা সিগারেট না এনে গরুর খাদ্য (ভুসি) দিলে শহিদ মিয়া তাকে থাপ্পড় মারেন। এতে রানা অচেতন হয়ে ফিশারিতে পড়ে মারা যান।

পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সুলতানা রুজি লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠান।

পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নূরুল আলম জানান, আদালতের নির্দেশে মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তে হত্যার আলামত পাওয়া গেলে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ