ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী অংশে বেহাল অবস্থা, ভোগান্তিতে চলাচলকারীরা

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে টঙ্গী অংশে পানিতে কাদা ও দুর্গন্ধে ভোগান্তিতে পড়েছেন চলাচলকারীরা
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে টঙ্গী অংশে পানিতে কাদা ও দুর্গন্ধে ভোগান্তিতে পড়েছেন চলাচলকারীরা  © টিডিসি

রাজধানী ঢাকার সঙ্গে ময়মনসিংহ ও উত্তরবঙ্গের যোগাযোগের অন্যতম প্রধান সড়ক ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক। প্রতিদিন লাখো যাত্রী এ মহাসড়ক ব্যবহার করে রাজধানীতে প্রবেশ ও বের হন। কিন্তু মহাসড়কের টঙ্গী অংশ বর্তমানে চরম বেহাল অবস্থায় রয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই তৈরি হচ্ছে জলাবদ্ধতা, রাস্তায় দেখা দিচ্ছে বড় বড় গর্ত, জমে থাকা পানিতে কাদা ও দুর্গন্ধে চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন চলাচলকারীরা।
 
স্থানীয় বাসিন্দা ও যাত্রীদের অভিযোগ, ওপরের ফ্লাইওভারের পানি সরাসরি নিচে সড়কে পড়ে জমে থাকে। পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় তা দ্রুত নামতে পারে না। দীর্ঘদিন জমে থাকা পানি শুকাতে দেরি হওয়ায় রাস্তায় কাদামাটি জমে থেকে একে চলাচলের অযোগ্য করে তুলেছে। এতে ছোট গাড়ি তো বটেই, বড় বাস ও ট্রাকও প্রায়ই কাদায় আটকে পড়ছে।
 
পথচারীরা জানান, অফিসগামী কিংবা স্কুলগামীদের জন্য এই সড়কে চলাচল যেন প্রতিদিনের দুর্বিষহ যন্ত্রণা। কাদায় পা পিছলে পড়ে যাওয়া, জুতাপোশাক নষ্ট হওয়া এখন নিত্যদিনের ঘটনা। আবার যানজটে আটকে থেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় নষ্ট হচ্ছে।
 
চালকেরা বলছেন, এ সড়ক দিয়ে গাড়ি চালানো এখন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। গর্তে পড়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। পাশাপাশি, যানবাহনের যন্ত্রাংশ দ্রুত নষ্ট হচ্ছে, যার ফলে অতিরিক্ত আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন তারা।
 
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়কের এই অংশে কোনো স্থায়ী সংস্কারকাজ করা হয়নি। বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা ও কাদায় রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে যায়, অথচ বর্ষা শেষে সাময়িক সংস্কারের নামে অল্প কিছু কাজ করেই দায় সেরে নেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে সমস্যার কোনো স্থায়ী সমাধান হয় না।
 
এলাকাবাসী ও যাত্রীরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, দ্রুত যদি টঙ্গী অংশের এই রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া না হয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে। এতে শুধু সাধারণ মানুষের দুর্ভোগই বাড়বে না, বরং দুর্ঘটনার আশঙ্কা ও অর্থনৈতিক ক্ষতির মাত্রাও মারাত্মক আকার ধারণ করবে।


সর্বশেষ সংবাদ