নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকের নামে মামলা
- ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫, ১২:৫৪ PM , আপডেট: ১৩ জুন ২০২৫, ০৮:০৬ AM
অবৈধভাবে টাকা আত্মসাৎ, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে মিটিং ছাড়াই ভুয়া রেজ্যুলেশন তৈরি করে বিল উত্তোলনসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় উপজেলার কুশমাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুর্শিদা বেগমের নামে বিভাগীয় মামলা হয়েছে।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য ও অভিভাবক হেলাল উদ্দিন অনিয়ম, দুর্নীতির বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, ময়মনসিংহ উপপরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের পর চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। দীর্ঘ ছয় মাসের তদন্তে মুর্শিদা বেগমের বিরুদ্ধে সত্যতা পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে এ বিভাগীয় মামলা হয়।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রধান শিক্ষিকা মুর্শিদা বেগম যোগদানের পর থেকে বিদ্যালয়ে অনিয়মিতভাবে উপস্থিত থাকেন। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। ২০১৮ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য সরকারিভাবে স্লিপ, ক্ষুদ্র মেরামতের ১০ লাখ টাকা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার যোগসাজশে বিদ্যালয়ের সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে আত্মসাৎ করেছেন। সরকারিভাবে দেওয়া প্রতিষ্ঠানের ল্যাপটপ ও রাউটার নিজ বাসায় নিয়ে ব্যবহার করে আসছেন তিনি।
আরও পড়ুন : সাবেক ভূমিমন্ত্রীর সম্পত্তি জব্দ, যা বললেন সাংবাদিক জুলকারনাইন
অভিযোগে আরও বলা হয়, উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ফারানাজ পাঠান হঠাৎ বিদ্যালয় পরিদর্শনে গেলে প্রধান শিক্ষক মুর্শিদা বেগমের কক্ষে ঢুকে দরজা বন্ধ করে আলোচনা করে চলে যান। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহী দিলসাদ এলিন যোগদান করার পর এখনো এ বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে যাননি বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। বিগত সরকারের সাবেক এমপি মোসলেম উদ্দিনের পারিবারিক লোক পরিচয দিয়ে কাউকে তিনি তোয়াক্কা করতেন না।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা মুর্শিদা বেগম বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অর্থনৈতিক ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ সঠিক নয়। তা ছাড়া এসব মামলায় আমার কিছুই হবে না।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহী দিলসাদ এলিন বলেন, তদন্ত কর্মকর্তারা অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন। তদন্তের প্রতিবেদন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, তদন্তে মুর্শিদা বেগমের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় গত ১ জুন তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। মামলার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।